টেকনাফের ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের পর এবার সারা দেশের ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসি) আয়োজিত সেমিনারে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আমরা বাঁচার সুযোগ দিতেই আপনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা আসুন। সবকিছু জমা দিয়ে ভালো হয়ে যান। না এলে আপনাদের চরম পরিণতি হবে। ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে সামনে আপনাদের। নগর ভবনে ‘মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ দখলে বর্জনীয় ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি টেকনাফে প্রায় ২০০ জন শীর্ষ ইয়াবা কারবারি তাদের সরঞ্জাম জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা কথা দিয়েছেন, মাদকের কারবারে আর কোনো দিন তারা জড়িত হবেন না। আর হলেও তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এখন আমরা অনেক জেলা থেকে সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহী। আমরা জেলায় জেলায় যাব। আর মাদকের পথ থেকে ফিরিয়ে আনব। কেউ না আসলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। বাঁচার কোনো পথ থাকবে না।
বর্তমানে কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার বাইরে বন্দী রয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৯০ হাজার বন্দীর ৫০ ভাগই মাদকের আসামি। আমরা চাই, মাদক থেকে সবাই ভালো পথে ফিরে আসুক। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকুক। নিজ নিজ থানায় গিয়ে আজই আত্মসমর্পণ করুন।
সেমিনারে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মাদক স্পট কোথায় আছে, আমাদের জানান। দেখবেন কী করি। বলার সঙ্গে সঙ্গে তা নিশ্চিহ্ন করা হবে। যে পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যে, অন্য পুলিশ সদস্যরা দেখে আঁতকে উঠবে। ’
ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘মাদকে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গিয়ে দুই-চার জন বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে। এটা নিয়ে দুই-চারজন জ্ঞানী-গুণী সমালোচনা করছেন। ভয় পাবেন না। তাতে কিছু যায় আসে না। সরকারের উন্নয়নের সামনে মেধাবীরা ঝরে যাবে। ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে না। আমরা বদ্ধপরিকর মাদক নির্মূলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাদক কারবারিরা এখন দানবে পরিণত হয়েছে। ’ এই দানবদের যেকোনো মূল্যে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।