প্রথমবারের মতো এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক- কর্মচারীরা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ‘বৈশাখী ভাতা’ পেতে যাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহেই শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হতে পারে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার পরিচালক সরকার আব্দুল মান্নান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এবার থেকে এইসব শিক্ষকেরা বৈশাখী ভাতা পাবে। এই সিদ্ধান্ত আরও বেশ কয়েক মাস আগেই হয়েছে।‘
মাউশি’র কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ৮ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর গত বছর থেকেই শিক্ষকেরা ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন। এবার থেকে এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী আগামী পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মূল বেতনের ২০ শতাংশ ‘বৈশাখী ভাতা’ পাবেন।
তারা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতা বাবদ এক বছরে ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ টাকা বরাদ্দ রেখেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ অর্থ দিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রদানে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। তার প্রেক্ষিতে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে বৈশাখী ভাতা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।