সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষের যে দুর্ভোগ ছিল তার অবসান হয়েছে। আজকে (বর্তমানে) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় যাওয়া যায়। গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর থেকে উত্তর জনপদের জেলাগুলোর দিকে যে যাত্রা, এ যাত্রা ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক যাত্রা যা আমরা জনগণকে উপহার দিতে পেরেছি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকায় সাসেক প্রকল্পের সাইড অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুটি উড়াল সেতু, কয়েকটি ওভারপাস, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতিসহ অনেকগুলো সেতু ঈদ উপহার হিসেবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ যাত্রাকে এবার নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করেছে। এটা দেশবাসী উপলব্ধি করছে।
মন্ত্রী বলেন, সড়ক নিয়ে কারো কোন অভিযোগ নেই। এবার সড়কের যাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল। টাঙ্গাইলে অ্যাক্সিডেন্ট ও রং সাইডে গাড়ি চালানোর জন্য কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এই মুহূর্তে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সারা দেশে গাড়ি চলছে। আশা করছি ঘরমুখো জনগণ কর্মস্থলে স্বস্তির সঙ্গে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবে। এ বিষয়টি বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছি। বাংলাদেশে এখন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে আদালতের এখতিয়ার। যে মামলায় তিনি কারাবন্দি, সাজাপ্রাপ্ত সে মামলা বর্তমান সরকারের ফাইল করা কোন মামলা না। এ মামলা বর্তমান সরকারের আমলে হয়নি। এ মামলা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছে। এটা আদালতের বিষয়। বিএনপির আইনজীবীরা প্রমাণ করতে পারেনি যে তিনি (খালেদা জিয়া) নির্দোষ। তারপর আরেকটা পথ আছে সামগ্রিক বেগম জিয়াকে মুক্তি দাবিতে চাপ সৃষ্ট করা। সে চাপ সৃষ্টি করার বিষয়টি ১৫ মাস বেগম জিয়া কারাগারে আছে। বিএনপি এ পর্যন্ত রাজপথে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। জনগন সারা দেয়নি। সেটা তো আমাদের দোষ না। এটা তাদের ব্যর্থতা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বিআরটি প্রকল্পের পিডি সানাউল হক, সাসেক প্রকল্প পরিচালক মো. ইছহাক আলী, সওজের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও গাজীপুর মেট্রো পলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ।