সরকার সকাল মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ধর্ম অনুসারে একই ডিজাইনের কবর এবং সমাধি তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি। অচিরেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সকল নিরাপত্তা সংবলিত ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এই রাজারবাগ পুলিশ লাইনেই ২৫ মার্চ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হানাদার বাহিনীকে প্রথম প্রতিরোধ করেছিলেন।
সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণমূলক এক বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর যে সকল সদস্য স্বাধীনতাযুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যুদ্ধের পর নিজ নিজ বাহিনীতে পুনঃ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে থাকলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান । পুলিশ বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি আবদুর রউফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুজিব নগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল্লাহ পাটোয়ারি বীর প্রতীক, কাজী জয়নাল আবেদীন বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক আইজিপি আব্দুল মাহবুবসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার পর ১৫৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।