বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় জেলা সদর ও লামা উপজেলার কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা কমতে শুরু করেছে।
জেলার ৯২টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া প্রায় ১১শ’ পরিবারের মধ্যে কেউ কেউ শুক্রবার দুপুর থেকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
তবে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়ায় ডুবে থাকা সড়ক থেকে পানি না নামায় শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত জেলা শহরের সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙামাটির যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় বন্ধ রয়েছে বান্দরবান-থানচি সড়ক। ঝুঁকি এড়াতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন বান্দরবান-রুমা সড়কের চালকরাও।
বান্দরবান জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর জানান, ‘বান্দরবান পৌর এলাকায় নয় আশ্রয়কেন্দ্রে পৌরসভার পক্ষ থেকে দুই বেলা করে খিচুড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া অস্থায়ী সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, ‘লামা পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা কমতে শুরু করেছে। কিছু কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যাচ্ছে। যারা এখনো অবস্থান করছে তাদের উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে’।