নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠন যখন সোচ্চার তখন খাদ্যে ভেজাল নিয়ে মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানালেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
পাশাপাশি কোনো খাবারকে ভেজাল বলার আগে আরও দায়িত্বশীল হতে বললেন তিনি। তার মতে, খাবারে কোনো কিছু পাওয়া মানেই এই নয় যে, সেটি নিরাপদ না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তার বক্তব্যের পক্ষে নানা যুক্তিও তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নানা অপপ্রচারের ফলে আমাদের পোলট্রি শিল্প হুমকির মুখে। আমরা অনেকেই ফার্মের মুরগি খাই না, কিন্তু বিল গেটস থেকে শুরু করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের সবাই কিন্তু এই মুরগি খাচ্ছেন।
খাদ্যকে নিরাপদ রাখার জন্য সবার সচেতনতা ও সাবধানতার প্রতি গুরুত্ব দেন মন্ত্রী। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং বিদ্যমান ল্যাবগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করব। পাশাপাশি জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে সংবাদকর্মীদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
আলোচনায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল খুবই কম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিএসটিআই ৩১৩টি খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করে এর মধ্যে মাত্র ১৯টিতে কিছু মাত্রায় অনুজীব পাওয়া গেছে। বাকিগুলোতে কোনো ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি, কিন্তু প্রচার হলো খাদ্য নিরাপদ নয়।
দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।