বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এই মামলার চার্জশিট দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান খান শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এফডিসি মিলনায়তনে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি সংসদ বিষয়ক বিতর্ক সংগঠনের উদ্যোগে ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার এগিয়ে চলছে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারণ, যারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িতরাও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র। তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত হবে, তা ভাবতেও পারিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছি। এই মামলার নির্ভুল চার্জশিট দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবরারের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। অনিয়ম ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, আমরা কোন সেক্টর বা এলাকার ওপর ভিত্তি করে অভিযান পরিচালনা করছি না। যেখানে অনিয়ম, দুর্নীতি হচ্ছে সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজ যাতে কোন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে না পারে সে জন্যই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতি ও মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনাই ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আমরা পথ হারিয়েছিলাম। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার সময় সারা দেশে ৯ থেকে ১০ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো। এ বছর ৩২ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের এমন কোন জেলা নেই যে, যে জেলাতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠান নেই। সকল ধর্মের লোক দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের কোন বিকল্প নেই।
সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি ও ঢাকা কলেজ অংশ গ্রহণ করে।