মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তাকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে কিডন্যাপের চেষ্টা করেছিল বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এমন দাবি করেছেন।
চলমান দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান নিয়ে বিএনপির সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পেলে এই অভিযানে আমি নামতাম না। আর আমি যখন এই অভিযানে নেমেছি তখন সে কে, কী করে, কোন দলের সেটা আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় না।’
‘বরং আমি তো আগেই বলেছি আপনাদেরকে যে, শুরু করলে তো ঘর থেকেই করতে হয়। নয়তো বলবেন যে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য করছি, তা তো না। আর যেই দলের (বিএনপি) কথা বললেন তারা আর কী বলবে! তারা তো দুর্নীতির খনি’ যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই দলের যিনি চেয়ারপারসন, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে করাগারে। আরেকজন যাকে ভারপ্রাপ্ত করল তিনিও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সেই দায়ে করা মামলায় দেশান্তরী। তো তাদের মুখে আবার এত কথা আসে কোথা থেকে?’
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) কোন সাহসে এ কথা বলে। যারা এতিমের সামান্য টাকার লোভ সামলাতে পারে না, সেটাও মেরে খেয়ে দেয়। তাদের মুখে তো এত বড় বড় কথা আমার দরকার নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং, অস্ত্রবাজি এমন কোনো অপকর্ম নেই যার সঙ্গে তারা জড়িত না। ওয়ান-ইলেভেনের পর যেসব তদন্ত হয়েছে, সেসবে কাদের নাম বেরিয়ে এসেছে?’
‘এমনকি এই বিএনপি আমেরিকায় এফবিআই অফিসারকে কিনে ফেলল, তাদের এত টাকার জোর। জয়ের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করল, তারা জয়কে কিডন্যাপ করার চেষ্টা করল। সেটা এফবিআইয়ের হাতেই ধরা পড়ল’ যোগ করেন তিনি।
ওই ঘটনায় এফবিআই তাদের অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা তদন্ত করতে গিয়ে বের হলো যে, বিএনপি নেতা এটা টাকা দিয়ে করিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জয়কে কিডন্যাপ করবে, হত্যা করবে এবং জয়ের বিরুদ্ধে কী কী পাওয়া যায় সে তথ্য সংগ্রহ করবে।’
আজারবাইজানের বাকুতে সদ্য অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সম্মেলন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।