সন্ত্রাসী-জঙ্গি-মাদক ব্যবসায়ী যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেব না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দিনরাত পরিশ্রম করছি দেশের উন্নয়নের জন্য। এটা বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধন করে এ কথা বলেন। সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিল উদ্বোধন করেন।
সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ২৮ হাজারেরও বেশী কাউন্সিলর যুবলীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বিকালে তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ গঠন করেন।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশ থেকে যুবলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে আশপাশের এলাকা।
যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলনে আসেননি। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে। নেতা-কর্মীরা ধারণা করছেন, দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে সমালোচনায় পড়া যুবলীগে এবার অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে আনা হতে পারে। তবে এবার বয়সসীমা ৫৫ বছর বেঁধে দেওয়ায় সর্বশেষ কমিটির অধিকাংশ নেতার সামনে নতুন কমিটিতে আসার সুযোগ থাকছে না।
সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ২৮ হাজারেরও বেশি কাউন্সিলর যুবলীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন করেন শেখ ফজলুল হক মণি।