করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মসজিদে আপাতত না যাওয়ার সরকারি নের্দশনায় সমর্থন জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী।
বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানোর স্বার্থে সরকারের দেওয়া অন্যসব নির্দেশনা পালনের জন্যও দেশের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ব্যতীত অন্য মুসল্লিদের সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার এই নির্দেশনা শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক ও যথার্থ বলে এক বিবৃতিতে জানান হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী।
হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানীর মাধ্যমে আসা বিবৃতিতে শফী বলেন, সরকারকর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাকে মূল্যায়ন করা ও তা উত্তমরূপে গ্রহণ করা মানবতার কল্যাণে ‘আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য’।
কুরআনের সুরা বাকারাহ ও সুরা নিসা থেকে দুটি আয়াত উদ্ধৃত করে আহমদ শফী বলেন, ইসলাম নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ হওয়াকে সমর্থন করে না; বরং নিষেধ করে। সর্তকতা ও সচেতনতা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যে কোনো আশু ক্ষতি থেকে সতর্ক থাকা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।
চলমান সঙ্কটময় পরিস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বর্তমানে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান চিত্র ভয়াবহরূপ নিয়েছে। সতর্কতার জন্য সরকার উলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে, যে কোনো ধরনের বড় জমায়েতকে নিষেধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে। জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ জারি করেছে।
তিনি বলেন, শরীয়ার দৃষ্টিতে এসকল সতর্কতামূলক নির্দেশনা সঠিক ও যথার্থ। সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাকে মূল্যায়ন করা এবং তা উত্তমরূপে গ্রহণ ও পালন করা মানবতার কল্যাণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।