প্রায় দুই মাস ধরে নদীতে ভাসতে থাকা ৩৯৬ জন ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড। দীর্ঘ এই সময়ে ৩২ জন রোহিঙ্গা নদীতেই মৃত্যুবরণ করেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং মানবাধিকার সংস্থাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে কড়াকড়ি থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
রয়টার্সকে পাঠানো খুদে বার্তায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘তারা সাগরে প্রায় দুইমাস ধরে ঘুরছিল। সবাই ক্ষুধার্ত।’
ওই কর্মকর্তা জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে তাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়।
রয়টার্সের খবরে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হলেও বিবিসি বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাতে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নৌকাটিকে উদ্ধার করার সময় সেখানে কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কাছে রোহিঙ্গাদের তুলে দেয়া হয়েছে। সবাইকে মিয়ানমারেই ফেরত পাঠানো হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে এবং থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে এরকম বেশ কয়েকটি শরণার্থীদের নৌকা ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে।
ঐ শরণার্থীরা বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন না মিয়ানমার থেকে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়।