যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডেমোক্রেটিক ভোটারদের হুমকি দিয়ে মেইল পাঠানোর পেছনে ইরানের হাত আছে। এই দেশটির পাশাপাশি রাশিয়ার কাছেও যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের তথ্য রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের আগে এফবিআই থেকে অনেকটা বিরল এই বিবৃতি এলো।
গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর জন র্যাটক্লিফ বলেছেন, ইমেইলগুলো কট্টর ডানপন্থী গ্রুপের আদলে এসেছে।
তিনি জানিয়েছেন, ইরান এবং রাশিয়ার কাছে কিছু ভোটারের নিবন্ধন তথ্য আছে।
‘ভোটারদের ডেটা গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।’
র্যাটক্লিফ তার কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে একই ধরনের কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। তবে তাদের কাছে তথ্য আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে ভোটারদের তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায়। কিছু রাজ্যে আবার আবেদন করতে হয়।
দেশটিতে নির্বাচন আসলেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ২০১৬ সালেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। তবে দেশটি সব সময় তা অস্বীকার করেছে।
প্রযুক্তি জগতের প্রসারের পর ফেইসবুক-টুইটার ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার থাকে তুঙ্গে। গতবারের নির্বাচনে ফেইসবুক ব্যবহার করে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। এক ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানিটি অর্থের বিনিময়ে তথ্য দিয়েছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে আদালতে।