করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিয়মরক্ষার পূজা হলেও এবারও দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যের ধারক দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামন্ডপটি। এবারও দেশি-বিদেশি অতিথিরা পূজা দেখতে এখানে আসবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাত ৮টায় দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে পূজা-অর্চনা শুরু করেন ভক্তরা। রাতে লৌহজং নদীর তীরঘেঁষা রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস মির্জাপুর গিয়ে দেখা যায় পূজার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত মন্ডপের প্রতিমা। পাশেই নদীতে থাকা নতুন রঙে রাঙানো দুটি নৌকা। অতিথিরা কুমুদিনী কমপ্লেক্সের পৌঁছানোর পর এ নৌকায় পার হয়ে যাবেন রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামন্ডপে। পূজা উপলক্ষে কুমুদিনী হাসপাতাল ক্যাম্পাসও সাজানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, তোরণ নেই, নেই আলোকসজ্জা। প্রতিমা ও মন্ডপটিও সাদামাটা। তবু সাদামাটা এ মন্ডপটি দুর্গোৎসবের সময় এখনো মির্জাপুর তথা টাঙ্গাইলের মূল আকর্ষণ। রণদা প্রসাদ সাহার এ বাড়ির মন্ডপ প্রায় ৩৫০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে রয়েছে। আগে এখানে সবাই ক্ষুদ্র পরিসরে পূজা করতেন। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৪২ সাল থেকে রণদা প্রসাদ সাহা এখানে ধুমধাম পূজা শুরু করেন। কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক (শিক্ষা) একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, ৩৫০ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে পূজামন্ডপটি। সাদামাটা পূজামন্ডপটি এখনো সারা দেশের আকর্ষণ। করোনায় এ বছরটি ভিন্ন হলেও প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী ছাড়াও দেশি-বিদেশি অতিথিরা মন্ডপটিতে আসবেন পূজা দেখতে।