সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা হানিফনগর গ্রামে মাদকাসক্ত পিকআপ চালক ছেলে আব্দুল করিমকে (১৮) হত্যার পর লাশ নিজ বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দিয়ে দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছিলেন মা করুণা খাতুন ও বাবা আলহাজ আলী।
করুণা খাতুন নরিনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টয়লেটের ট্যাংকি থেকে আব্দুল করিমের লাশ উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এ ঘটনায় বাবা আলহাজ আলী ও মা করুণা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, পিকআপ চালক আব্দুল করিম প্রায়ই রাতে মাদকসেবন করে বাড়ি ফিরে সবাইকে নির্যাতন করত। এ কাণ্ডে পরিবারের সবাই তার ওপর অতিষ্ঠ ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা-মা তাকে বেধড়ক মারধর করে। এতে একপর্যায়ে করিমের মৃত্যু হয়। বিষয়টি গোপন রেখে লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেয় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পুলিশও ঘটনাস্থলে এসেছে। লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ঘটনার পর পুলিশ নিহতের বাবা-মাকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল মজিদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এলাকাবাসীর মুখে মুখে রটনা শোনা যাচ্ছে যে মা-বাবা তাকে হত্যার পর লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দিয়েছে। এটা সঠিক কিনা তা তদন্ত না করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।