খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভবন নির্মাণের জন্য গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে শিক্ষার্থীরা প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭২ বর্গফুট আয়তনের টিএসসি ভবন নির্মাণে নানা প্রজাতির ছোট-বড় ১৪০টি গাছ কাটা পড়বে। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিকল্প জায়গায় টিএসসি নির্মাণ করলে এত গাছ কাটা পড়ত না বলে জানান তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, ক্যাম্পাসে জায়গা সংকটের কারণে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থাপনা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে টিএসসি ভবন নির্মাণের জন্য অপরিকল্পিত জায়গার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। পরে ক্যাম্পাসের ফাঁকা স্থানে গাছ লাগানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত বছর ৩০ ডিসেম্বর গাছ কাটার টেন্ডার পায় মাছুম এন্টারপ্রাইজ। দরপত্রে ১৪০টি গাছের দাম ভ্যাটসহ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গাছগুলোর মধ্যে শিরি, মেহগনি, জাম, নারকেল, সুপারি, কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া গাছ রয়েছে। দুই বছর মেয়াদে চারতলা টিএসসি ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪০ টাকা। ভবনের অডিটরিয়ামে ১ হাজার ৭১০টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাস বৃক্ষহীন হয়ে পড়বে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক, আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, জিমনেশিয়াম ও টিএসসি নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে। পরে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।’