কাজী আনোয়ার হোসেনের ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরে সমাহিত করা হবে তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খ্যাতিমান সেবা প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতার পুত্রবধূ মাসুমা মায়মুর।
দেশ রূপান্তরকে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বনানী কবরস্থানের কাজী আনোয়ার হোসেনকে মায়ের কবরে সমাহিত করা হবে।
কাজী আনোয়ার হোসেন বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মাসুমা আরও জানান, বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে মরদেহ রাখা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে সেগুন বাগিচার বাসায় নেওয়া হবে। স্থানীয় মসজিদে জানাজার পর বাদ জোহর দাফন করা হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কোনো আয়োজন রাখা হচ্ছে না জানান তিনি। বিষয়টি বিবেচনা করে লেখকের ভক্ত-অনুরাগীদের প্রতি সেগুন বাগিচার বাসায় ভিড় না করার অনুরোধ রেখেছেন।
তিনি জানান, ৩১ অক্টোবর কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর পাঁচবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। ১০ জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এ লেখক-প্রকাশক। তার বাবা বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ, শিক্ষক ও লেখক কাজী মোতাহার হোসেন।
সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। এর কিছু আগে ‘কুয়াশা’ নামক আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র তার হাতেই জন্ম নিয়েছিল। বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব ছদ্মনামেও বই লিখেছেন তিনি।
কাজী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন মারা গেছেন ২০১৫ সালে। তিনি এক মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।