তরুণ প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ব্যতিক্রমধর্মী এক পিঠা উৎসব গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর সদর উপজেলার ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ ক্যা¤পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি পরিচালিত ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি ও নয়নপুর এনএস আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের তৈরি বাহারি পিঠা নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
পাটিসাপটা, ভাঁপা পিঠা, নকশি পিঠা, মাংসপুলি, দুধপুলি, নারকেলপুলি, দুধচিতই, দুধপোয়া, ঝালপোয়া, মালপোয়া, সেমাই পিঠা, ডিম পিঠা, মাংস-ঝাল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা পিঠা, জামাই পিঠা, রুট পিঠা, থামি পিঠা, অঙ্কন পিঠা, চিরুনি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, দুধ গুগল, বিস্কুট পিঠা, সমুচা পিঠা, ছিটা পিঠা এবং সুজির হালুয়া এমন বাহারি নামের হরেকরকম পিঠার সমারোহ ছিল উৎসবে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিনা সোমনা তাসফিয়া বলে, খাওয়া তো দূরের কথা, এত পিঠার নাম আমি আগে কখনো শুনিনি। তিন প্রকারের পিঠা নিয়ে এসে অনেক ধরনের পিঠা খেয়েছি, অনেক নতুন পিঠা চিনেছি।
উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক ১৫টি স্টলে কোনো পিঠা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়নি। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকরা পিঠা জমা করে একটি শুভেচ্ছা কুপন সংগ্রহ করেন এবং সেই কুপন যেকোনো স্টলে জমা দিয়ে পছন্দমতো প্রত্যেক পদের পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন। তরুণ প্রজন্মকে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানান রকম পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণ শিক্ষক সুনীল চন্দ্র সেন।
উৎসবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত ছিল।