দেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনার প্রতিষেধক টিকা এলো। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। জনসনের তৈরি এ টিকা এক ডোজের। তবে জনসনের টিকা দেশে এলেও এ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুল হক গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জনসনের এ টিকা অন্যান্য টিকার মতোই সংরক্ষণ করা যাবে। এ টিকা কবে, কোন এলাকায়, কখন দেওয়া হবে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা হয়নি। কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জনসনের করোনার টিকা আসার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা এসেছে। এ নিয়ে দেশে করোনার ছয় ধরনের টিকা এসেছে। এসব টিকা দিয়ে সরকার সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি চালাচ্ছে। গত বছর জুন মাসেই জনসনের করোনার টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনসেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি এ টিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ৬৬ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে এ টিকার কার্যকারিতার হার ৭২ শতাংশ বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৯ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জনকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ২৭২ জন দুই ডোজ পেয়েছে। তৃতীয় ডোজ পেয়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪১ জন।