ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম মেহেদি হাসান স্বপন (৩০)। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের তালতলাপাড়ার দবিরউদ্দিন শেখের ছেলে।
পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এ নিয়ে শৈলকুপা উপজেলায় ছয়জনের প্রাণ গেল। যাদের মধ্যে পাঁচজনই সারুটিয়া ইউনিয়নের। বাকি একজন নিহত হন বগুড়া ইউপিতে।
সারুটিয়া গ্রামের একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারুটিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুদ। এই ইউনিয়নে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপু। নির্বাচনের আগে থেকেই সারুটিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মামুদ ও নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিপুর দুটি সামাজিক গোষ্ঠী রয়েছে। জানা গেছে, নিহত মেহেদি হাসান ছিলেন টিপুর সমর্থক।
স্বজনদের অভিযোগ, বর্তমান চেয়ারম্যান মামুদের লোকজন মেহেদি হাসানকে হত্যা করেছে। তারা বলছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন মেহেদিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। স্বজনরা উদ্ধার করে মেহেদিকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়ে মেহেদি হাসান স্বপন মারা গেছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’