উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা করায় সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন এবং স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন, প্রাথমিকভাবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ যোগান দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব অর্থ যোগান তারা কিসের ভিত্তিতে দিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এসব অর্থ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে থাকতে পারে বা করার পরিকল্পনা রয়েছে কি না এমন বিষয়গুলো সামনে তদন্তে আসবে।
হাবিবুর রহমান স্বপন ও রেজা নূর মুঈন দীপকে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।
ওই ভবনেই থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২০০৮-০৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এবং একটি আইটি ফার্মের এমডি শাহ রাজী সিদ্দিকী।
এর আগে শাবিপ্রবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়, আটক পাঁচজনকে ঢাকা থেকে সিলেটে আনা হচ্ছে।
রেজার স্ত্রী জাকোয়ান সালওয়া তাকরিম বলেন, ‘রেজা সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসা থেকে বের হয়ে মুদি দোকানে কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তুলে নেয়।’
তিনি জানান, ‘তারা রেজার গাড়ি ফেরত দিতে বাসায় আসে এবং জানায় রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা বাসায় এসেছিল তাদের গাড়িতে সিআইডির স্টিকার লাগানো ছিল। এ সময় গাড়িতে তিনি হাবিবকেও দেখেছেন।’
রেজার স্ত্রী বলেন, ‘শাবির উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রেজা ও হাবিব আর্থিক সহায়তা করছেন। আরও অনেক বন্ধুদের কাছে থেকে তারা টাকা সংগ্রহ করেও দিয়েছেন। এ কারণে তাদের আটক করা হতে পারে।’
এদিকে রোববার রাত আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কয়েকটি মোবাইল অ্যাকাউন্ট কাজ করছে না।
এরপর উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের খাবারের দোকানগুলোও বন্ধ হয়ে যায়।