একসঙ্গে সাফল্যের দুটি ধারা মিলে গেল। আবেগে ভাসলেন কোচ হোসে মরিনহো। কাঁদলেন এবং কাপে বারবার চুমু খেলেন। তিরানার এয়ার আলবেনিয়া স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে ডাচ ক্লাব ফিয়েনুর্দকে ১-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথম ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে এএস রোমা। এমন বিরল ঘটনার পর চোখে জল আসতে বাধ্য। তাছাড়া প্রথম কোচ হিসেবে চারটি আলাদা ক্লাবের হয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েছেন পর্তুগিজ কোচ। এটাই আবেগ আপ্লুত হওয়ার জন্য কম বড় ঘটনা নয়।
স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছোট হওয়ায় মাঠে দর্শক কম ছিল। কিন্তু রোমে রোমার সমর্থকদের জন্য স্তাদিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে বড়পর্দায় ম্যাচটি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই ৫০ হাজার রোমা সমর্থক ম্যাচটি দেখে রাস্তায় বিজয় মিছিল বের করেন। ফাইনালের আগে তিরানায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সেই মারামারিতে ১৯ পুলিশ কর্মকর্তা এবং পাঁচ আলবেনিয়ান নাগরিক আহত হন। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিও মারা হয়েছে। এসব অনভিপ্রেত ঘটনায় রোমার ঐতিহাসিক সাফল্য কালিমালিপ্ত হয়েছে। না হলে আরও গর্ব করতে পারত তারা। ১৯৬১ সালে ইন্তার-সিটি ফেয়ারস কাপ ছাড়া যাদের ঝুলিতে কোনো শিরোপা নেই। তবে মরিনহোর আছে। ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টের ফাইনালে শতভাগ জয়ের রেকর্ড তার। পাঁচটি ফাইনালেই জিতলেন ‘স্পেশাল ওয়ান’। ইতালির জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনির পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে ইউরোপে পাঁচটি বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলেন তিনি। জয়ের পর হাতের পাঁচ আঙুলে দেখিয়ে বোঝালেনও। বিরল কীর্তির পর পর্তুগিজ কোচ বলেছেন, ‘মাথার মধ্যে অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। রোমায় মাত্র ১১ মাস হলো এসেছি। তবে আসার পরই বুঝতে পেরেছিলাম সমর্থকরা এমন একটা মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন। ছেলেদের বলেছিলাম রাতটা ইতিহাস লেখার, আমাদের ইতিহাস লিখতে হবে এবং আমরা তা পেরেছি।’