বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দিন তারিখ ঘোষণা করে সরকারবিরোধী আন্দোলন হয় না। সময় হলে আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।’ এদিকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম, সেটা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। এই সংগ্রামে দেশের জনগণই জয়ী হবে।’
গতকাল রবিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তারা। দুপুর ২টার কিছুক্ষণ পর শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলন করতে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি আলেম-ওলামাদের মুক্ত করতে আন্দোলনের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রথম দফা সংলাপে জাতীয় ঐক্য করার বিষয়ে নীতিগত ঐকমত্য ছিল, এখন দ্বিতীয় দফায় সুনির্দিষ্ট দাবি আদায়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে । যে ২৩ দলের সঙ্গে প্রথম দফায় সংলাপ হয়েছিল, তারা ছাড়াও অন্য যেকোনো দল এ দফায় সংলাপে আসতে পারে।’
দ্বিতীয় দফা সংলাপের পরই যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।’
এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের দিন-তারিখ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে, চমক আছে, অপেক্ষা করুন। এবার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। বিজয় আমাদের হবেই। রাজপথে আমাদের দেখতে পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রামÑসেটা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হব। এখানে জয় ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির পক্ষে সংলাপে আরও অংশ নেন ২০-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সোহেল মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, উত্তরের সেক্রেটারি জামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ ও উত্তরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ।