জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের বিপর্যয়ে রাজধানী উত্তরায় অধিকাংশ পাম্পে জেনারেটরের তেল কিনতে লম্বা ভিড় দেখা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় আব্দুল্লাহপুর, আজমপুর, এক নম্বর সেক্টরের পাম্পগুলোতে ভিড় দেখা যায়।
উওরা আজিমপুর তেল পাম্পে তেল কিনতে আসা বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারী সাব্বির দেশ রূপান্তরকে জানান, বিদ্যুৎ না আসার খবর শুনে অফিসের বস জেনারেটরের তেল কিনতে পাঠিয়েছেন। এখানে এসে দেখি তেল কিনতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে আব্দুল্লাহপুর উওরা পাম্পে এসেছেন ১১ সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের বহুতল ভবনের সুপারভাইজার মানিক মিয়া।
তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, পাম্পে তেল নিতে এসেছি। যে পরিমাণ তেল নেয়া দরকার ওই পরিমাণ তেল পাম থেকে দিতে চাচ্ছে না। অনেকেই পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছে।
বেশ কিছু পেট্রোলপাম্প কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
উত্তরায় বাসা বাড়ি এবং মার্কেট ও অফিস সংখ্যা অনেক। এ ছাড়া উওরার আশপাশে ছোট-বড় কলকারখানাও রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মেটাতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে পেট্রোল পাম্পগুলো।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা। গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ ও সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি।
দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে দেশের একমাত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি)। ইতিমধ্যে ঢাকার কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।