logo
আপডেট : ৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০
পদ্মার ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তীরবর্তী মানুষ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

পদ্মার ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তীরবর্তী মানুষ

বর্ষা মৌসুম শেষে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়িতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে পদ্মা নদী। লৌহজং উপজেলার বড় নওপাড়া ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বানারী গ্রামে চলছে ভাঙন। ভাঙনের কারণে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন ঠেকাতে বড় নওপাড়া ও বানারী গ্রামে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

লৌহজং উপজেলার লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামে পদ্মার ভাঙনের গর্জনে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষ। গত শনিবার রাতে এ গ্রাম ঘেঁষে ভাঙন দেখা দেয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ভাঙনে নদীতীরবর্তী অন্তত ১৫টি বসতঘর বিলীন হয়েছে।

গভীর রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রামের খোকন মোল্লার চোখের সামনে তার বসতঘর গিলেছে রাক্ষুসে পদ্মা। তার মতোই মিঠু মোল্লা, কুতুব মোল্লা, ইয়ানুছ মোল্লা, হোসেন মোল্লা, মামুন মোল্লা, মুকুল মোল্লা, মো. ফারুক ও হাদি মোল্লার বসতঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। খোকন মোল্লা বলেন, ‘সর্বনাশা নদী আমাগো ঠিকানা হারা কইর‌্যা গেল।’

লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। ভাঙন ঠেকাতে ইতিমধ্যে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘ভাঙনরোধে আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

অন্যদিকে, গেল সোমবার রাতে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বানারী গ্রামের দক্ষিণ চরের প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙন দেখা দেয়। এতে বিলীন হয়ে গেছে নদীতীরবর্তী ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে ১০-১২টি পরিবার বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের দাতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাসাইল কেরামতিয়া মাদ্রাসা। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি হুমকিতে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, লৌহজংয়ে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া টঙ্গীবাড়িতে ৫৫ মিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। টঙ্গীবাড়ির বানারী গ্রামে বুধবার সকাল থেকে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।