logo
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:২৬
'বগুড়ার মান-রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ভর করছে উপনির্বাচনের ওপর'
বগুড়া প্রতিনিধি

'বগুড়ার মান-রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ভর করছে উপনির্বাচনের ওপর'

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এই আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তাতে কই আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়েছে, হয়নি। তারা পদত্যাগ করে ভেবে ছিল এই সরকারের পতন ঘটবে। কিন্তু সরকারের পতন ঘটেনি। ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে বগুড়ার মান ও আগামীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর এই রাগেবুল আহসার রিপু ঢাকার রাস্তায় ও সারাদেশে ফেরিওয়ালার মত ঘুরে বেড়িয়েছেন ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করার জন্য। সেই পরীক্ষিত নেতা বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সজ্জন, সদালাপী রাগেবুল আহসান রিপুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমাকে প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন একটি বার্তা দিয়ে। উপনির্বাচনে আমি আজ এসেছি, ২৬ তারিখে আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন। আপনারা কিছু জাহেলের এবং কিছু বাতেলের কথা জানেন। জাহেলের কথা গুলো বললাম, বাতেলে কথাগুলো বললাম না। বাতেলের কথা বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় বগুড়া জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটি আয়োজনে শহরের ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে বগুড়া সদর আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নৌকা মার্কার নির্বাচনি আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাগেবুল আহসান রিপুকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বগুড়া শহরের যানজট নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে সে সমস্যা থাকবে না। এই জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে বাধা থাকবে না। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিলম্বিত হবে না। তবে আমি বলতে চাই, একটি নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সব দল অংশ নেবে, ব্যক্তি বিশেষও অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু রাগেবুল আহসান রিপু যখন নির্বাচিত হবেন, তখন তিনি সব দলের মানুষের জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন। সবার এমপি হিসেবে তার আচরণ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের আজকের যে পরিস্থিতি, সারাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। বিশ্ব সংকট মোকাবিলা করেছেন শেখ হাসিনা। করোনায় মানুষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। করোনা মোকাবেলা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সাথে সাথে টাকা পাঠিয়ে তার ব্যবস্থা করেছেন শেখ হাসিনা। সেই করোনায় বিশ্ব অর্থনীতি বন্ধ হয়েছে, সারাবিশ্ব মুখথুবরে পড়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। এই বাংলাদেশকে অন্ধাকারে রেখে গিয়েছিল বিএনপি জামায়াত। সেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ কোটি নতুন বই তুলে দিয়েছেন। আজ মানুষের জন্মগত অধিকার চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে মানুষের অর্থনৈতিক স্বনির্ভর করে তুলেছেন। শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলি ট্যানেল, পদ্মা সেতু করেনি। তিনি এই বগুড়ার ওপর দিয়ে ফোরলেন রাস্তা করে দিচ্ছেন। আজ থেকে বহুদিন ধরে বগুড়া আসছি। শেখ হাসিনা এই বগুড়ার মূল্যায়ন করছেন। এই বগুড়ায় বিমানবন্দর হবে। বগুড়া এগিয়ে যাবে। বগুড়াকে এগিয়ে নিতে হলে, শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী রিপুকে নির্বাচিত করতে হবে। তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনাদের কথা তুলে ধরবেন আর যা যা প্রয়োজন তা আপনাদের জন্য নিয়ে আসবেন রিপু। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিবহন শ্রমিকদের সালাম জানিয়েছেন। আপনারা এই এলাকার বিএনপি জামায়াতকে মোকাবিলা করেছেন। পেট্রোল বোমা দিয়ে গাড়ি পুড়িয়েছে, যাত্রী পুড়িয়েছে, ড্রাইভারদের আগুনে মেরেছে। সেই অবস্থাতেও সাহসিকতার সাথে পরিচয় দিয়েছেন এই পরিবহন শ্রমিকরা। এবার সময় এসেছে আপনাদের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলার। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই আসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিন। তিনি আপনাদের জন্য সবকিছু করবেন।

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু পরিচালনায় নির্বাচনি আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসাদুল হাবীব দুলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আরিফ। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, মোটরশ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।