টেরিজাকে ‘নির্বোধ নারী’ বলে বিপাকে করবিন
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেকে ‘নির্বোধ নারী’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন। করবিন আসলেই মেকে ‘নির্বোধ’ বলেছেন কি না তা নিয়ে ব্রিটেনে আলোচনা তুঙ্গে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মেকে নির্বোধ বলার বিষয়টি করবিন অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তিনি মে-কে ওই কথা বলেননি। তবে ‘ বলেছেন।
হাউস অব কমন্সে দাবি করেন করবিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে। সেই সব লোককে আমি ‘নির্বোধ লোক’ বলেছি।
টেরিজা মের বেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ) চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহে। সংসদীয় ভোট পিছিয়ে দেওয়াকে ‘স্বার্থপর কৌশল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মেকে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রীও বলেন তিনি।
করবিন ‘নির্বোধ নারী’ বলেছেন কি না তা নিয়ে টেরিজা মেও সন্দিহান। হিথ্রো বিমানবন্দরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, করবিন আসলে কী বলেছেন? নির্বোধ নারী, নাকি নির্বোধ জনগণ?
অভিযোগটি ওঠার পর হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকোও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি।
আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিয়েছেন স্পিকার। তবু সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেকে ‘নির্বোধ নারী’ বলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন। করবিন আসলেই মেকে ‘নির্বোধ’ বলেছেন কি না তা নিয়ে ব্রিটেনে আলোচনা তুঙ্গে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মেকে নির্বোধ বলার বিষয়টি করবিন অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তিনি মে-কে ওই কথা বলেননি। তবে ‘ বলেছেন।
হাউস অব কমন্সে দাবি করেন করবিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে। সেই সব লোককে আমি ‘নির্বোধ লোক’ বলেছি।
টেরিজা মের বেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ) চুক্তি নিয়ে জেরেমি করবিনের সঙ্গে প্রথম সংঘাত শুরু হয় গত সপ্তাহে। সংসদীয় ভোট পিছিয়ে দেওয়াকে ‘স্বার্থপর কৌশল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মেকে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রীও বলেন তিনি।
করবিন ‘নির্বোধ নারী’ বলেছেন কি না তা নিয়ে টেরিজা মেও সন্দিহান। হিথ্রো বিমানবন্দরে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, করবিন আসলে কী বলেছেন? নির্বোধ নারী, নাকি নির্বোধ জনগণ?
অভিযোগটি ওঠার পর হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকোও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না। তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি।
আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিয়েছেন স্পিকার। তবু সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।