সেতু সংস্কার না করায় জনদুর্ভোগ
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
উপজেলা সদর-কদমতলী সড়কের কেডিসি এলাকা সংলগ্ন গোমতী শাখা নদীর ওপর ভেঙেপড়া পাকা সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ৬ গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের চলাচল এ সেতুর ওপর দিয়ে।
দাউদকান্দি উপজেলা সদরের সঙ্গে সদর উত্তর ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি প্রায় ১৫ বছর আগে গোমতীর শাখা সতানন্দী খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বালুভর্তি ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর মাঝখানের পিলার ভেঙে যাওয়ায় দুই বছর আগে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। সেতুর মুখে ছোট পিলার লাগিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিছু বালু ও ইট ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে সাইনবোর্ড ও পিলার তুলে ফেলেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৮ অক্টোবর ইটভর্তি ট্রাক্টর পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর ২০ নভেম্বর স্থানীয়রা সেখানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। এটির ওপর দিয়ে যানবাহন ও পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে মালামাল পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন এখন। সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, সেতুটি ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ৪০টির মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক এখন বলতে গেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। আশপাশের গ্রামের প্রসূতিসহ রোগীদের হাসপাতালে নিতে এবং কৃষিপণ্য পারাপারে সমস্যা বেড়েই চলেছে। দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম জানান, গোমতী নদীর ওপর নির্মিত ভেঙে যাওয়া সেতুটির জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আহসান আলী বলেন, ওই নদীতে ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের নকশা তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন পাব।
শেয়ার করুন
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

উপজেলা সদর-কদমতলী সড়কের কেডিসি এলাকা সংলগ্ন গোমতী শাখা নদীর ওপর ভেঙেপড়া পাকা সেতুটি পুনর্নির্মাণ না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ৬ গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের চলাচল এ সেতুর ওপর দিয়ে।
দাউদকান্দি উপজেলা সদরের সঙ্গে সদর উত্তর ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি প্রায় ১৫ বছর আগে গোমতীর শাখা সতানন্দী খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে ৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বালুভর্তি ট্রলারের ধাক্কায় সেতুর মাঝখানের পিলার ভেঙে যাওয়ায় দুই বছর আগে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধ করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়। সেতুর মুখে ছোট পিলার লাগিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিছু বালু ও ইট ব্যবসায়ী রাতের আঁধারে সাইনবোর্ড ও পিলার তুলে ফেলেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৮ অক্টোবর ইটভর্তি ট্রাক্টর পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর ২০ নভেম্বর স্থানীয়রা সেখানে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। এটির ওপর দিয়ে যানবাহন ও পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে মালামাল পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন এখন। সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, সেতুটি ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ৪০টির মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক এখন বলতে গেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। আশপাশের গ্রামের প্রসূতিসহ রোগীদের হাসপাতালে নিতে এবং কৃষিপণ্য পারাপারে সমস্যা বেড়েই চলেছে। দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম জানান, গোমতী নদীর ওপর নির্মিত ভেঙে যাওয়া সেতুটির জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আহসান আলী বলেন, ওই নদীতে ৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের নকশা তৈরি করে প্রধান কার্যালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বানের অনুমোদন পাব।