কেন্দ্র নেই
এবারও দুর্ভোগে ৮০০ ভোটার
বগুড়া প্রতিনিধি | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
জেলার ধুনট উপজেলার একটি অংশে ভোটকেন্দ্র না থাকায় ভোটাররা ভোট দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, পাশাপাশি দুর্ভোগসহ নানা বিড়ম্বনায়ও পড়ছেন। এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। ভোটকেন্দ্র না হওয়ায় ভোটার ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না।
ধুনটের যমুনা নদীর পুব অংশে অবস্থিত তিনটি চর। ভা-ারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, বথুয়ারভিটা ও রাধানগর নামে এই তিনটি চরে রয়েছেন প্রায় ৮০০ ভোটার । ওই তিন চরে নেই কোনো ভোটকেন্দ্র। এ কারণে ভোটের মৌসুম এলেই দুর্ভোগে পড়েন সেখানকার ভোটাররা। নদী ডিঙিয়ে তাদের পশ্চিম তীরের ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় ভোট দিতে। দীর্ঘদিন ধরেই নদীর পূর্ব তীরে তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই দুর্ভোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের ধুনট উপজেলার ভা-ারবাড়ী ইউনিয়নটি যমুনা নদীর দুই পাড়ে বিভক্ত। নদীর পুব দিকে জেগে ওঠা বৈশাখী, বথুয়ারভিটা ও রাধানগর চরে প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস। পুব পাশের এই তিনটি চরের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য একটি নি¤œমাধ্যমিক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু সেসব বিদ্যালয়কে ভোটকেন্দ্র করা হয় না কখনই। নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিই চরবাসীর ভোটকেন্দ্র। স্বাধীনতার পর থেকে চরের বালু মাড়িয়ে নৌকায় উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় চরের ভোটারদের। ফলে চরের নারী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ পড়েন বিপাকে। প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না।
রাধানগর চরের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সি আজিজার রহমান বলেন, ‘প্রতিবার ভোটের আগোত সব ন্যাতারাই কয় চরে ভোট সেন্টার দিমো, কিন্তু ভোটের সোমে আর দেয় না। আমাহ্যরে এই দুর্ভোগ দেহার কেউ নাইক্যা। বুড়া মানুষগোর ভোট হয়তে ন্যাতাগোর লাগবো না।’
ভা-ারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনা নদীর পুব পাশে চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির মজবুত অবকাঠানো রয়েছে। তার পরও চরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভোটার নদী পার হয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে যান না। উপজেলা প্রশাসনকে বহুবার নদীর পুব পাশে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
শেয়ার করুন
বগুড়া প্রতিনিধি | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

জেলার ধুনট উপজেলার একটি অংশে ভোটকেন্দ্র না থাকায় ভোটাররা ভোট দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, পাশাপাশি দুর্ভোগসহ নানা বিড়ম্বনায়ও পড়ছেন। এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসী। ভোটকেন্দ্র না হওয়ায় ভোটার ও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না।
ধুনটের যমুনা নদীর পুব অংশে অবস্থিত তিনটি চর। ভা-ারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, বথুয়ারভিটা ও রাধানগর নামে এই তিনটি চরে রয়েছেন প্রায় ৮০০ ভোটার । ওই তিন চরে নেই কোনো ভোটকেন্দ্র। এ কারণে ভোটের মৌসুম এলেই দুর্ভোগে পড়েন সেখানকার ভোটাররা। নদী ডিঙিয়ে তাদের পশ্চিম তীরের ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় ভোট দিতে। দীর্ঘদিন ধরেই নদীর পূর্ব তীরে তারা ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই দুর্ভোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের ধুনট উপজেলার ভা-ারবাড়ী ইউনিয়নটি যমুনা নদীর দুই পাড়ে বিভক্ত। নদীর পুব দিকে জেগে ওঠা বৈশাখী, বথুয়ারভিটা ও রাধানগর চরে প্রায় ২ হাজার মানুষের বাস। পুব পাশের এই তিনটি চরের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য একটি নি¤œমাধ্যমিক ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু সেসব বিদ্যালয়কে ভোটকেন্দ্র করা হয় না কখনই। নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিই চরবাসীর ভোটকেন্দ্র। স্বাধীনতার পর থেকে চরের বালু মাড়িয়ে নৌকায় উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হয় চরের ভোটারদের। ফলে চরের নারী, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ পড়েন বিপাকে। প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না।
রাধানগর চরের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সি আজিজার রহমান বলেন, ‘প্রতিবার ভোটের আগোত সব ন্যাতারাই কয় চরে ভোট সেন্টার দিমো, কিন্তু ভোটের সোমে আর দেয় না। আমাহ্যরে এই দুর্ভোগ দেহার কেউ নাইক্যা। বুড়া মানুষগোর ভোট হয়তে ন্যাতাগোর লাগবো না।’
ভা-ারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনা নদীর পুব পাশে চরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির মজবুত অবকাঠানো রয়েছে। তার পরও চরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভোটার নদী পার হয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে যান না। উপজেলা প্রশাসনকে বহুবার নদীর পুব পাশে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।