প্রচারের সড়কে ছুটছে ইমরানের মোটরগাড়ি
পরিমল মজুমদার, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ইমরান এইচ সরকারের মোটরগাড়ি এখন সর্বোচ্চ গতিতে, ভোটের মহাসড়কে। বালিয়ামারী, কেজাইকাটা, কোদালকাটি, নয়ার চর। হলুদ সরিষা ক্ষেতের মাঝখান থেকে হাঁক আসেÑ কেডা বাহে, এমরান নাহি! –ইমরান এগিয়ে যান, ভোট চান মোটরগাড়ি মার্কায়। জায়গার ছাওয়াল দাবি অনেক, তারা মাথায় হাত বুলিয়ে দেন, দোয়া করেন।
‘উন্নয়নের মোটরগাড়ি, ছুটবে এবার রৌমারী-রাজীবপুর টু চিলমারী’Ñএ সেøাগান তুলে নেতাকর্মীদের নিয়ে কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার এলাকার যেখানে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছ থেকে এভাবেই সাড়া পাচ্ছেন। আর তার সেøাগানটাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রৌমারীর কাঁচামাল দোকানি আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও ইমরান ভাই অনেক আগাইছে।’ তার মতে, ‘ভালোই ভোট টানব।’ এ এলাকার হাসপাতাল গেটের চা-দোকানের কর্মচারী আইনুল অপকটে বললেন, ‘নাও আর ধানের শীষে বহুত ভোট দিছি। এবার মোটরগাড়ি মার্কায় ভোট দিমু।’ ওর কথা শুনে সেখানে বসা কোদালকাটি বাজারের এমদাদুল প্রামাণিক বলেন, ‘তোর কথা শুইনা খুশি হইলাম। পোলাডা ভালাই আছে।’
রাজীবপুর বাজারের আইনুদ্দিন খলিফার মতে, ‘আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ভোটাররা সরব হলেও ইমরানের ভোটার কথা কয় না। চুপচাপ। জায়গামতো সিল মাইরবো।’
চিলমারীর মাটিকাটার মোড়ে বাসচালকের সহকারী আয়নালের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘সারাদিন এই এলাকায় যাত্রী আনা-নেওয়া করি। ইমরান সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আছে। তবে মানুষজন বিএনপি-আওয়ামী লীগ এই দুই দলের বাইরে যাইতে চায় না।’
রৌমারীর গণমাধ্যমকর্মী কুদ্দুস বিশ্বাস বলেন, ইমরানের পক্ষে এখন জনমত অনেক বাড়ছে। তরুণ ভোটাররা তার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। রাজীবপুরের মস্তান মোড়ের কালাম ম-ল বলেন, ‘ইমরানের ভোট আমাদের এলাকায় বেশি হবে।’ কারণ হিসেবে বলেন, ইমরানের বাড়ি রাজীবপুর উপজেলায়।
বটতলা মোড়ের সাইকেল মিস্ত্রি আবদুস সালাম বলেন, ‘ইমরান হইলেও (পাস করলেও) তারে ভোট দিমু, না হইলেও তারে ভোট দিমু।’
হাঁড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেও মানুষ ইমরানের পথসভাগুলোতে ভিড় করছেন। কী করলে ব্রহ্মপুত্র বিচ্ছিন্ন এই উপজেলাগুলোর উন্নয়ন হবে সে সম্পর্কে ইমরানের কথা শুনছেন তারা।
গতকাল বুধবার বিকেলে চিলমারীতে গণসংযোগ চালানোর সময় কথা হয় ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমি খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের কাছ থেকে। আমার মোটরগাড়ি ছুটছে অভীষ্ট লক্ষ্যে।’
শেয়ার করুন
পরিমল মজুমদার, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ইমরান এইচ সরকারের মোটরগাড়ি এখন সর্বোচ্চ গতিতে, ভোটের মহাসড়কে। বালিয়ামারী, কেজাইকাটা, কোদালকাটি, নয়ার চর। হলুদ সরিষা ক্ষেতের মাঝখান থেকে হাঁক আসেÑ কেডা বাহে, এমরান নাহি! –ইমরান এগিয়ে যান, ভোট চান মোটরগাড়ি মার্কায়। জায়গার ছাওয়াল দাবি অনেক, তারা মাথায় হাত বুলিয়ে দেন, দোয়া করেন।
‘উন্নয়নের মোটরগাড়ি, ছুটবে এবার রৌমারী-রাজীবপুর টু চিলমারী’Ñএ সেøাগান তুলে নেতাকর্মীদের নিয়ে কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান এইচ সরকার এলাকার যেখানে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছ থেকে এভাবেই সাড়া পাচ্ছেন। আর তার সেøাগানটাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রৌমারীর কাঁচামাল দোকানি আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দিকে একটু সমস্যা হলেও ইমরান ভাই অনেক আগাইছে।’ তার মতে, ‘ভালোই ভোট টানব।’ এ এলাকার হাসপাতাল গেটের চা-দোকানের কর্মচারী আইনুল অপকটে বললেন, ‘নাও আর ধানের শীষে বহুত ভোট দিছি। এবার মোটরগাড়ি মার্কায় ভোট দিমু।’ ওর কথা শুনে সেখানে বসা কোদালকাটি বাজারের এমদাদুল প্রামাণিক বলেন, ‘তোর কথা শুইনা খুশি হইলাম। পোলাডা ভালাই আছে।’
রাজীবপুর বাজারের আইনুদ্দিন খলিফার মতে, ‘আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ভোটাররা সরব হলেও ইমরানের ভোটার কথা কয় না। চুপচাপ। জায়গামতো সিল মাইরবো।’
চিলমারীর মাটিকাটার মোড়ে বাসচালকের সহকারী আয়নালের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘সারাদিন এই এলাকায় যাত্রী আনা-নেওয়া করি। ইমরান সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আছে। তবে মানুষজন বিএনপি-আওয়ামী লীগ এই দুই দলের বাইরে যাইতে চায় না।’
রৌমারীর গণমাধ্যমকর্মী কুদ্দুস বিশ্বাস বলেন, ইমরানের পক্ষে এখন জনমত অনেক বাড়ছে। তরুণ ভোটাররা তার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। রাজীবপুরের মস্তান মোড়ের কালাম ম-ল বলেন, ‘ইমরানের ভোট আমাদের এলাকায় বেশি হবে।’ কারণ হিসেবে বলেন, ইমরানের বাড়ি রাজীবপুর উপজেলায়।
বটতলা মোড়ের সাইকেল মিস্ত্রি আবদুস সালাম বলেন, ‘ইমরান হইলেও (পাস করলেও) তারে ভোট দিমু, না হইলেও তারে ভোট দিমু।’
হাঁড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেও মানুষ ইমরানের পথসভাগুলোতে ভিড় করছেন। কী করলে ব্রহ্মপুত্র বিচ্ছিন্ন এই উপজেলাগুলোর উন্নয়ন হবে সে সম্পর্কে ইমরানের কথা শুনছেন তারা।
গতকাল বুধবার বিকেলে চিলমারীতে গণসংযোগ চালানোর সময় কথা হয় ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমি খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের কাছ থেকে। আমার মোটরগাড়ি ছুটছে অভীষ্ট লক্ষ্যে।’