মেঘালয়ে ১৫ দিন ধরে আটকা ১৫ খনিশ্রমিক
রূপান্তর ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এক কয়লাখনিতে দুই সপ্তাহ ধরে ১৫ শ্রমিক আটকা পড়ে আছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রণালয় আটকা খনি শ্রমিকদের উদ্ধারে ‘সৃষ্টিকর্তার কৃপা’ ও ‘অলৌকিক’ ঘটনার ওপর ভরসা করতে বলেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত ১৩ ডিসেম্বর মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তা পাহাড়ের একটি অবৈধ কয়লাখনিতে প্রবেশ করে ওই ১৫ শ্রমিক। কিন্তু খনিতে প্রবেশের পর থেকেই আর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ২০০৪ সালেই মেঘালয় সরকার ঝুঁকির কারণে ওই খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করছিল।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, খনিটির কাছাকাছি লিটিয়েন নদী ও একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে প্রবাহিত পানি পাহাড়টির ভেতরের অংশে প্রবেশ করায় শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মেঘালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী কিরমেন শিলা বলেন, ‘শুধু সৃষ্টিকর্তার কৃপা ও অলৌকিক ঘটনাই পারে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে।’ খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে সাতজন মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার, পাঁচজন আসামের ও বাকি তিনজন প্রত্যন্ত লুমথারি গ্রামের বাসিন্দা।
গত রোববার কর্র্তৃপক্ষ উদ্ধারকাজ স্থগিতের ঘোষণা দিলে রাজনীতির মাঠে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এক টুইটবার্তায় বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মোদি বোগিবিল ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। আর দুই সপ্তাহ ধরে ১৫ জন শ্রমিক কয়লাখনিতে আটকা পড়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী ওই শ্রমিকদের বাঁচান। মূলত এমন প্রতিক্রিয়ার পরই নতুন করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। উদ্ধারকাজের জন্য কোল ইন্ডিয়া তাদের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল ও ঝাড়খন্ডের ধানবাদ খনি থেকে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পও মেঘালয়ে পাঠিয়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এক কয়লাখনিতে দুই সপ্তাহ ধরে ১৫ শ্রমিক আটকা পড়ে আছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রণালয় আটকা খনি শ্রমিকদের উদ্ধারে ‘সৃষ্টিকর্তার কৃপা’ ও ‘অলৌকিক’ ঘটনার ওপর ভরসা করতে বলেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
গত ১৩ ডিসেম্বর মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তা পাহাড়ের একটি অবৈধ কয়লাখনিতে প্রবেশ করে ওই ১৫ শ্রমিক। কিন্তু খনিতে প্রবেশের পর থেকেই আর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ২০০৪ সালেই মেঘালয় সরকার ঝুঁকির কারণে ওই খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে অবৈধভাবে কয়লা উত্তোলন করছিল।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, খনিটির কাছাকাছি লিটিয়েন নদী ও একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে প্রবাহিত পানি পাহাড়টির ভেতরের অংশে প্রবেশ করায় শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মেঘালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী কিরমেন শিলা বলেন, ‘শুধু সৃষ্টিকর্তার কৃপা ও অলৌকিক ঘটনাই পারে তাদের জীবিত উদ্ধার করতে।’ খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে সাতজন মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পার্বত্য জেলার, পাঁচজন আসামের ও বাকি তিনজন প্রত্যন্ত লুমথারি গ্রামের বাসিন্দা।
গত রোববার কর্র্তৃপক্ষ উদ্ধারকাজ স্থগিতের ঘোষণা দিলে রাজনীতির মাঠে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এক টুইটবার্তায় বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মোদি বোগিবিল ব্রিজে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। আর দুই সপ্তাহ ধরে ১৫ জন শ্রমিক কয়লাখনিতে আটকা পড়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী ওই শ্রমিকদের বাঁচান। মূলত এমন প্রতিক্রিয়ার পরই নতুন করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। উদ্ধারকাজের জন্য কোল ইন্ডিয়া তাদের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল ও ঝাড়খন্ডের ধানবাদ খনি থেকে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পও মেঘালয়ে পাঠিয়েছে।