কাশ্মীরে ‘দয়ার দেয়াল’
রূপান্তর ডেস্ক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে দেয়ালে ঝুলছিল এক সোয়েটার। তাতে চোখ পড়ে ষাটোর্ধ্ব আলী মোহাম্মদের। রাজ্য সেদিন কাবু হাড়কাঁপানো শীতে; অধিকাংশ লোকের গায়ে ঐতিহ্যবাহী পুরো জামা ফিরান।
একটু হেঁটে সোয়েটারের পাশে দাঁড়ানো কয়েকজনের কাছে গেলেন মোহাম্মদ। একজনকে জিজ্ঞেস করেন, ‘বাবা, এই সোয়েটারটা কত?’ জবাবে এক যুবক বলেন, ‘চাচা, এগুলো বিক্রির জন্য নয়; দরকারে যে কেউ চাইলে বিনামূল্যে নিতে পারে।’
বিস্মিত মোহাম্মদ বলে ওঠেন, ‘আমার চেয়ে অভাবী কে আছে?’ অশ্রুসজল চোখে তিনি আরো বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে। অথচ আয়ের কোনো পথ নেই; আমি খুবই গরিব।’ কথাগুলো বলে একটি জ্যাকেট, কয়েকটি সোয়েটার ও জুতা জোড়া নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নেন বর্ষীয়ান এই কাশ্মীরি।
তিনি বলেন, ‘এখানে জামা পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই ভালো উদ্যোগ। এই শীতে আমার মতো লোকজনকে জামা কিনতে হবে না। যারা এই জিনিসগুলো দিয়েছে, সৃষ্টিকর্তা তাদের মঙ্গল করুন।’
‘দয়ার দেয়াল’ নামে নতুন এক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেয়ালে রাখা হচ্ছে জামা। ইরান ও তুরস্ক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন কিছু তরুণ। তাদের একজন আবরার আলী বলেন, ‘হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা
থাকা কাশ্মীরে এ সময়টাতে অনেক অভাবী লোক আছে, যাদের গরম কাপড় নেই।’ এ সংগঠক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দেয়াল পরিচিতি পাওয়ার পর আমরা লোকজনকে উদারহস্তে দিতে দেখছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গোটা কাশ্মীরি সমাজে এ বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম, যাতে যুবারা এগিয়ে আসে এবং বেশি করে এ ধরনের দেয়াল তৈরি করে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে দেয়ালে ঝুলছিল এক সোয়েটার। তাতে চোখ পড়ে ষাটোর্ধ্ব আলী মোহাম্মদের। রাজ্য সেদিন কাবু হাড়কাঁপানো শীতে; অধিকাংশ লোকের গায়ে ঐতিহ্যবাহী পুরো জামা ফিরান।
একটু হেঁটে সোয়েটারের পাশে দাঁড়ানো কয়েকজনের কাছে গেলেন মোহাম্মদ। একজনকে জিজ্ঞেস করেন, ‘বাবা, এই সোয়েটারটা কত?’ জবাবে এক যুবক বলেন, ‘চাচা, এগুলো বিক্রির জন্য নয়; দরকারে যে কেউ চাইলে বিনামূল্যে নিতে পারে।’
বিস্মিত মোহাম্মদ বলে ওঠেন, ‘আমার চেয়ে অভাবী কে আছে?’ অশ্রুসজল চোখে তিনি আরো বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে। অথচ আয়ের কোনো পথ নেই; আমি খুবই গরিব।’ কথাগুলো বলে একটি জ্যাকেট, কয়েকটি সোয়েটার ও জুতা জোড়া নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নেন বর্ষীয়ান এই কাশ্মীরি।
তিনি বলেন, ‘এখানে জামা পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই ভালো উদ্যোগ। এই শীতে আমার মতো লোকজনকে জামা কিনতে হবে না। যারা এই জিনিসগুলো দিয়েছে, সৃষ্টিকর্তা তাদের মঙ্গল করুন।’
‘দয়ার দেয়াল’ নামে নতুন এক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেয়ালে রাখা হচ্ছে জামা। ইরান ও তুরস্ক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন কিছু তরুণ। তাদের একজন আবরার আলী বলেন, ‘হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা
থাকা কাশ্মীরে এ সময়টাতে অনেক অভাবী লোক আছে, যাদের গরম কাপড় নেই।’ এ সংগঠক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দেয়াল পরিচিতি পাওয়ার পর আমরা লোকজনকে উদারহস্তে দিতে দেখছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গোটা কাশ্মীরি সমাজে এ বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম, যাতে যুবারা এগিয়ে আসে এবং বেশি করে এ ধরনের দেয়াল তৈরি করে।