মিসরে বিস্ফোরণে নিহত ৪
পাল্টা অভিযানে ৪০ ‘সন্ত্রাসী’ হত্যা
রূপান্তর ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
মিসরের বিখ্যাত গিজা পিরামিডের কাছে বাসে বোমার আঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ভিয়েতনামের পর্যটক, অন্যজন মিসরীয় গাইড। শুক্রবারের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
এ ঘটনার পর পুলিশের অভিযানে ৪০ ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যার দাবি করেছে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল শনিবার গিজা প্রদেশে ৩০ এবং উত্তর সিনাইয়ে আরো ১০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী।
মিসরের প্রসিকিউটর জেনারেল নাবিল সাদেক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে গিজা পিরামিড থেকে চার কিলোমিটারের কম দূরত্বে মারিয়োতিয়ার সড়কে পর্যটকবাহী বাসটি চলার সময় দেয়ালের আড়ালে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জানালার কাচসহ বাসের একাংশ গুঁড়িয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আহতদের দেখতে আল হারাম হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবোলি। ক্রমবর্ধমান হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশই ১০০ ভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
এক বছরের মধ্যে মিসরে এটি পর্যটকদের ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে দুই জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বর্তমানে পর্যটন খাত দেশটিতে বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে দেশটিতে এ ধরনের হামলার সংখ্যা বাড়ে।
শেয়ার করুন
পাল্টা অভিযানে ৪০ ‘সন্ত্রাসী’ হত্যা
রূপান্তর ডেস্ক | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

মিসরের বিখ্যাত গিজা পিরামিডের কাছে বাসে বোমার আঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ভিয়েতনামের পর্যটক, অন্যজন মিসরীয় গাইড। শুক্রবারের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১১ জন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
এ ঘটনার পর পুলিশের অভিযানে ৪০ ‘সন্ত্রাসী’কে হত্যার দাবি করেছে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, গতকাল শনিবার গিজা প্রদেশে ৩০ এবং উত্তর সিনাইয়ে আরো ১০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী।
মিসরের প্রসিকিউটর জেনারেল নাবিল সাদেক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে গিজা পিরামিড থেকে চার কিলোমিটারের কম দূরত্বে মারিয়োতিয়ার সড়কে পর্যটকবাহী বাসটি চলার সময় দেয়ালের আড়ালে লুকানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে জানালার কাচসহ বাসের একাংশ গুঁড়িয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আহতদের দেখতে আল হারাম হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবোলি। ক্রমবর্ধমান হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশই ১০০ ভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
এক বছরের মধ্যে মিসরে এটি পর্যটকদের ওপর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে দুই জার্মান নাগরিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বর্তমানে পর্যটন খাত দেশটিতে বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে দেশটিতে এ ধরনের হামলার সংখ্যা বাড়ে।