ভিডিও ফাঁস ব্যাগে করে খাশোগির দেহাংশ পাচার করা হয়
রূপান্তর ডেস্ক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহ টুকরো অবস্থায় ব্যাগভর্তি করে পাচার করা হয়। সম্প্রতি তুরস্কের মিডিয়াতে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওচিত্রে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়ি থেকে ব্যাগ হাতে কথিত হত্যাকারীদের কয়েকজনকে বের হতে দেখা যায়।
তুরস্কের মিডিয়ার বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবন থেকে কয়েকজন সৌদি কর্মকর্তাকে ভারী কালো ব্যাগ হাতে বের হতে দেখা যায়। সর্বশেষ ফাঁস হওয়া এই ভিডিওচিত্র নিয়ে এখনো সৌদি কর্র্তৃপক্ষ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভিডিওটি প্রথম তুর্কি নিউজ চ্যানেল এ হাবের প্রকাশ করে। চ্যানেলটি ডেইলি সাবাহ পত্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ফেরহাত উনলুর বরাত দেয়। এই সাংবাদিক সম্প্রতি ‘ডিপ্লোমেটিক অ্যাট্রোসিটি : দ্য ডার্ক সিক্রেটস অব দ্য খাশোগি মার্ডার’ নামে একটি বই লিখেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির আরব সেন্টারের নির্বাহী প্রধান খলিল জাহাসান এই ভিডিওচিত্রকে ‘খুবই উল্লেখযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড তদন্তের ঘটনায় এই ভিডিও নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর ফলে আবার সেই প্রশ্নটিই সামনে চলে আসবে, কোথায় গেল খাশোগির মরদেহ?’
তুর্কি কর্র্তৃপক্ষ ঘটনার শুরু থেকেই বলছে, জামাল খাশোগির মতো সাংবাদিককে হত্যার নির্দেশ সৌদি নেতৃত্বের উচ্চপর্যায় থেকে এসেছে। এই হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলেও তুর্কি কর্র্তৃপক্ষ মনে করে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর তার দেহ টুকরো অবস্থায় ব্যাগভর্তি করে পাচার করা হয়। সম্প্রতি তুরস্কের মিডিয়াতে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওচিত্রে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়ি থেকে ব্যাগ হাতে কথিত হত্যাকারীদের কয়েকজনকে বের হতে দেখা যায়।
তুরস্কের মিডিয়ার বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবন থেকে কয়েকজন সৌদি কর্মকর্তাকে ভারী কালো ব্যাগ হাতে বের হতে দেখা যায়। সর্বশেষ ফাঁস হওয়া এই ভিডিওচিত্র নিয়ে এখনো সৌদি কর্র্তৃপক্ষ কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভিডিওটি প্রথম তুর্কি নিউজ চ্যানেল এ হাবের প্রকাশ করে। চ্যানেলটি ডেইলি সাবাহ পত্রিকার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ফেরহাত উনলুর বরাত দেয়। এই সাংবাদিক সম্প্রতি ‘ডিপ্লোমেটিক অ্যাট্রোসিটি : দ্য ডার্ক সিক্রেটস অব দ্য খাশোগি মার্ডার’ নামে একটি বই লিখেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির আরব সেন্টারের নির্বাহী প্রধান খলিল জাহাসান এই ভিডিওচিত্রকে ‘খুবই উল্লেখযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড তদন্তের ঘটনায় এই ভিডিও নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর ফলে আবার সেই প্রশ্নটিই সামনে চলে আসবে, কোথায় গেল খাশোগির মরদেহ?’
তুর্কি কর্র্তৃপক্ষ ঘটনার শুরু থেকেই বলছে, জামাল খাশোগির মতো সাংবাদিককে হত্যার নির্দেশ সৌদি নেতৃত্বের উচ্চপর্যায় থেকে এসেছে। এই হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত রয়েছে বলেও তুর্কি কর্র্তৃপক্ষ মনে করে।