নববর্ষে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিলেন কিম
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নববর্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে নিঃসঙ্গ, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকলে উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের রাস্তা থেকে সরে আসবে কিম এমন হুমকি দিয়েছেন বলে গতকাল জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৮ সালের জুন মাসে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম জং উন। ট্রাম্প ওই বৈঠককে সফল বললেও এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রহিতের ব্যাপারে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
সম্প্রতি আবারও বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন কিম। এমনকি ট্রাম্পও বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দফায় তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। তবে ওই বৈঠক নিয়ে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। প্রথম বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া কিছু পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করলেও দৃশ্যমান তেমন ফল আসেনি। প্রতিবছরই নতুন বছরের শুরুতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এই উত্তর কোরীয় নেতা। এ সময় তিনি তার বাবা ও পিতামহ কিম ইল সাংয়ের অনুসরণে জাতির জন্য নতুন কোনো বার্তা প্রদান করেন। গত বছরের ভাষণে কিম দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে বললেও এবার পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টিই তার ভাষণে বিশেষ জায়গা পায়।
কিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ অব্যাহত রাখে, তাহলে তিনি বিকল্প পথে হাঁটবেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের জনগণের ধৈর্যের অবমূল্যায়ন করে, আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেয় এবং অবরোধ অব্যাহত রাখে আর বিশ্বের সামনে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন পথে হাঁটা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’
উত্তর কোরিয়া সব ধরনের মিসাইল ও পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। যদিও বেশ কিছু স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দাবি, গোপনে উত্তর কোরিয়া পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তেমন কোনো নিরেট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে, যেসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সূত্র : এএফপি
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নববর্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে নিঃসঙ্গ, তখন যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন করে হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকলে উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের রাস্তা থেকে সরে আসবে কিম এমন হুমকি দিয়েছেন বলে গতকাল জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৮ সালের জুন মাসে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রশ্নে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম জং উন। ট্রাম্প ওই বৈঠককে সফল বললেও এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রহিতের ব্যাপারে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
সম্প্রতি আবারও বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন কিম। এমনকি ট্রাম্পও বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দফায় তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। তবে ওই বৈঠক নিয়ে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। প্রথম বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া কিছু পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত করলেও দৃশ্যমান তেমন ফল আসেনি। প্রতিবছরই নতুন বছরের শুরুতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এই উত্তর কোরীয় নেতা। এ সময় তিনি তার বাবা ও পিতামহ কিম ইল সাংয়ের অনুসরণে জাতির জন্য নতুন কোনো বার্তা প্রদান করেন। গত বছরের ভাষণে কিম দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে বললেও এবার পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টিই তার ভাষণে বিশেষ জায়গা পায়।
কিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ অব্যাহত রাখে, তাহলে তিনি বিকল্প পথে হাঁটবেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের জনগণের ধৈর্যের অবমূল্যায়ন করে, আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেয় এবং অবরোধ অব্যাহত রাখে আর বিশ্বের সামনে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন পথে হাঁটা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’
উত্তর কোরিয়া সব ধরনের মিসাইল ও পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। যদিও বেশ কিছু স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দাবি, গোপনে উত্তর কোরিয়া পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তেমন কোনো নিরেট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে, যেসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সূত্র : এএফপি