সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল
মোংলা প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন ও নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণে মুখর মোংলার দর্শনীয় স্থানসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বন্দর শহর ও শিল্প এলাকার হোটেল-মোটেলগুলো লোকে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট লঞ্চ, জালিবোট, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক সোমবার ভোর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট ও নতুন বছরকে বরণ করতে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরে উৎসব কাটাতে নৌবিহারে পর্যটকরা বনের এসব স্পটে অবস্থান নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।
এদিকে একসঙ্গে অনেক পর্যটকের ভিড় বাড়ায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সোম ও মঙ্গলবার পর্যটকদের আনাগোনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইডের জন্য বন বিভাগের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
মোংলার পর্যটন ব্যবসায়ী দ্য সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও দ্য জিআরএস ট্যুরস অ্যান্ড টেভেলসের মালিক মো. এমাদুল বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছরকে বরণের জন্য তাদের লঞ্চ দুটি দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ভোরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। তারা এখন বনের সৌন্দর্যের আধার কটকায় অবস্থান করছেন। আরো দু-একদিন তারা বনেই থাকবেন।
তারা আরো জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানচলাচলে বিধিনিষেধ না থাকলে আরো অনেক পর্যটক আসতেন। নির্বাচন ও যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণেই বিশেষ করে অনেক বিদেশি তাদের পূর্বনির্ধারিত শিডিউল বাতিল করেছেন। তার পরও আনন্দ উপভোগে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছুটে আসছেন সুন্দরবনে।
মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম বলেন, সুন্দরবনে বসেই নতুন বছর বরণ ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে আসা পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন।
মোংলার পিকনিক কর্নার ও ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া জয়মনি নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও নৌপথে টহল বৃদ্ধি করেছেন। সুন্দরবন ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে প্রশাসনের রয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।
শেয়ার করুন
মোংলা প্রতিনিধি | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

থার্টিফার্স্ট নাইট উদ্যাপন ও নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণে মুখর মোংলার দর্শনীয় স্থানসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বন্দর শহর ও শিল্প এলাকার হোটেল-মোটেলগুলো লোকে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া ট্যুরিস্ট লঞ্চ, জালিবোট, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক সোমবার ভোর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করেন।
থার্টিফার্স্ট নাইট ও নতুন বছরকে বরণ করতে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরে উৎসব কাটাতে নৌবিহারে পর্যটকরা বনের এসব স্পটে অবস্থান নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।
এদিকে একসঙ্গে অনেক পর্যটকের ভিড় বাড়ায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সোম ও মঙ্গলবার পর্যটকদের আনাগোনা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইডের জন্য বন বিভাগের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
মোংলার পর্যটন ব্যবসায়ী দ্য সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও দ্য জিআরএস ট্যুরস অ্যান্ড টেভেলসের মালিক মো. এমাদুল বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন ও নতুন বছরকে বরণের জন্য তাদের লঞ্চ দুটি দেশি-বিদেশি পর্যটক নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ভোরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। তারা এখন বনের সৌন্দর্যের আধার কটকায় অবস্থান করছেন। আরো দু-একদিন তারা বনেই থাকবেন।
তারা আরো জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানচলাচলে বিধিনিষেধ না থাকলে আরো অনেক পর্যটক আসতেন। নির্বাচন ও যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণেই বিশেষ করে অনেক বিদেশি তাদের পূর্বনির্ধারিত শিডিউল বাতিল করেছেন। তার পরও আনন্দ উপভোগে বিপুলসংখ্যক পর্যটক ছুটে আসছেন সুন্দরবনে।
মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম বলেন, সুন্দরবনে বসেই নতুন বছর বরণ ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে আসা পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন।
মোংলার পিকনিক কর্নার ও ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া জয়মনি নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও নৌপথে টহল বৃদ্ধি করেছেন। সুন্দরবন ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে প্রশাসনের রয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।