লকডাউনে না ইউরোপের
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
ইউরোপজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। শীতকাল শুরু হওয়ায় হু হু করছে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ কারণে গত অক্টোবর মাস থেকে অঞ্চলটির কয়েকটি দেশে নতুন করে জারি হয়েছিল কঠোর বিধিনিষেধ। লকডাউন দিয়েছিল ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে লকডাউনেও সুফল না মেলায় বেশিরভাগ দেশই ফিরে আসতে চাইছে এই পদ্ধতি থেকে। ফ্রান্স ইতিমধ্যে নতুন করে আর লকডাউন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে ডিসেম্বর থেকে সেখানে আর লকডাউন দেওয়া হবে না। জার্মানিতে চলমান লকডাউন লাইট সর্বোচ্চ বড় দিনের আগ পর্যন্ত চলতে পারে।
বিবিসি জানাচ্ছে, করোনার কারণে দেওয়া লকডাউন শিথিল করছে ফ্রান্স। জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি অন্য দোকানও খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ তথ্য জানান। ম্যাক্রোঁ বলেন, ক্রিসমাসের সময়ে মানুষজন তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। তবে পানশালা ও রেস্তোরাঁ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে দেশটিতে করোনায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২২ লাখ মানুষের। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের।
এদিকে ডিসেম্বরে লকডাউনের পথে না গিয়ে দেশটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে আর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
এর পরিবর্তে করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও। এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম’ কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলোতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে। একেবারে ওপরের স্তরে, সব পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হবে। কিন্তু অন্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে এখনই লকডাউন তুলে না নিলেও ডিসেম্বরের পরে আর তা বহাল রাখতে চায় না জর্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ‘লকডাউন লাইট’ এখন চলছে, তা ক্রিসমাসের আগ পর্যন্ত ডিসেম্বর মাসেও জারি থাকতে পারে। শোলৎজ বলেন, এখনকার পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বর্তমান কড়াকড়ি অবশ্যই ৩০ নভেম্বরের পরেও চালু রাখতে হবে। তবে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের হাত ছাড়বে না জানান অর্থমন্ত্রী শোলৎজ। তার মতে, এটা জীবিকা সুরক্ষিত রাখার প্রশ্ন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

ইউরোপজুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। শীতকাল শুরু হওয়ায় হু হু করছে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ কারণে গত অক্টোবর মাস থেকে অঞ্চলটির কয়েকটি দেশে নতুন করে জারি হয়েছিল কঠোর বিধিনিষেধ। লকডাউন দিয়েছিল ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে লকডাউনেও সুফল না মেলায় বেশিরভাগ দেশই ফিরে আসতে চাইছে এই পদ্ধতি থেকে। ফ্রান্স ইতিমধ্যে নতুন করে আর লকডাউন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে ডিসেম্বর থেকে সেখানে আর লকডাউন দেওয়া হবে না। জার্মানিতে চলমান লকডাউন লাইট সর্বোচ্চ বড় দিনের আগ পর্যন্ত চলতে পারে।
বিবিসি জানাচ্ছে, করোনার কারণে দেওয়া লকডাউন শিথিল করছে ফ্রান্স। জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি অন্য দোকানও খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ তথ্য জানান। ম্যাক্রোঁ বলেন, ক্রিসমাসের সময়ে মানুষজন তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। তবে পানশালা ও রেস্তোরাঁ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে দেশটিতে করোনায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২২ লাখ মানুষের। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের।
এদিকে ডিসেম্বরে লকডাউনের পথে না গিয়ে দেশটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে আর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
এর পরিবর্তে করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও। এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম’ কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলোতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে। একেবারে ওপরের স্তরে, সব পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হবে। কিন্তু অন্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে এখনই লকডাউন তুলে না নিলেও ডিসেম্বরের পরে আর তা বহাল রাখতে চায় না জর্মানি। দেশটির অর্থমন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ‘লকডাউন লাইট’ এখন চলছে, তা ক্রিসমাসের আগ পর্যন্ত ডিসেম্বর মাসেও জারি থাকতে পারে। শোলৎজ বলেন, এখনকার পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বর্তমান কড়াকড়ি অবশ্যই ৩০ নভেম্বরের পরেও চালু রাখতে হবে। তবে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলেও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের হাত ছাড়বে না জানান অর্থমন্ত্রী শোলৎজ। তার মতে, এটা জীবিকা সুরক্ষিত রাখার প্রশ্ন।