বিশ্বে প্রথম ঋতুস্রাব পণ্য ফ্রি দিচ্ছে স্কটল্যান্ড
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সব নারীকে বিনামূল্যে ঋতুস্রাবকালীন পণ্য সরবরাহ করতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড। নারীদের সহজে পণ্যগুলো পেতে দেশটি একটি আইন করেছে। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে ‘পিরিয়ড প্রডাক্টস বিল’ অনুমোদন করে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ নামের আইনে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পর্যায় পর্যন্ত ঋতুস্রাবকালীন পণ্য বিনামূল্যে দিতে হবে। সমাজের অন্য নারীরাও এটি বিনামূল্যে নিতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট কিছু খাতে নারীদের বিনামূল্যে ঋতুস্রাব পণ্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দেশ হিসেবে সব নারীর জন্য নজিরবিহীন ঘোষণা দিল স্কটল্যান্ড। নতুন আইনের মাধ্যমে স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, এখন থেকে কারও ঋতুস্রাবকালীন কোনো পণ্যের (যেমন তুলা ও স্যানিটারি প্যাড) প্রয়োজন হলে তিনি সেগুলো বিনামূল্যে ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিলটি উত্থাপন করেন স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য মনিকা লেনন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি মেয়েদের ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ দূরীকরণে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। মনিকা লেনন বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে নারীদের ঋতুস্রাব থেমে থাকে না। কিন্তু মহামারীর সময়ে প্রয়োজনীয় তুলা, প্যাড ও অন্যান্য পণ্যগুলো সহজে পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। এজন্য আগের সব আইনের মতো এটিও পাস করা জরুরি ছিল।’
আইনের অধীনে স্কটিশ সরকার দেশজুড়ে পাবলিক টয়লেট থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের বাথরুমে এ ধরনের পণ্য রাখার ব্যবস্থা করবে। স্কটল্যান্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিগত দুই বছর ধরে বিনামূল্যে ন্যাপকিন দিয়ে আসছে।
নারীদের ঋতুস্রাব সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এ সময় তুলা, প্যাড ও অন্যান্য পণ্য কিনতে অনেক মেয়েকেই হিমশিম খেতে হয়। স্কটল্যান্ডে নারীদের এজন্য প্রতি মাসে আট পাউন্ডের মতো খরচ করতে হয়, যা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। দুই হাজার নারীর ওপর পরিচালিত ইয়ং স্কটের এক জরিপে দেখা গেছে, স্কটল্যান্ডের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য পেতে উত্তরদাতাদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন বেকায়দায় পড়েন বলে জানান।
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে শতকরা ১০ শতাংশ মেয়ের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। ১৫ শতাংশ মেয়েকে এসব পণ্য পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দামের কারণে ১৯ শতাংশ মেয়ে যথাযথ পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সব নারীকে বিনামূল্যে ঋতুস্রাবকালীন পণ্য সরবরাহ করতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড। নারীদের সহজে পণ্যগুলো পেতে দেশটি একটি আইন করেছে। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতভাবে ‘পিরিয়ড প্রডাক্টস বিল’ অনুমোদন করে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ নামের আইনে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পর্যায় পর্যন্ত ঋতুস্রাবকালীন পণ্য বিনামূল্যে দিতে হবে। সমাজের অন্য নারীরাও এটি বিনামূল্যে নিতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট কিছু খাতে নারীদের বিনামূল্যে ঋতুস্রাব পণ্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দেশ হিসেবে সব নারীর জন্য নজিরবিহীন ঘোষণা দিল স্কটল্যান্ড। নতুন আইনের মাধ্যমে স্থানীয় কর্র্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে, এখন থেকে কারও ঋতুস্রাবকালীন কোনো পণ্যের (যেমন তুলা ও স্যানিটারি প্যাড) প্রয়োজন হলে তিনি সেগুলো বিনামূল্যে ও সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিলটি উত্থাপন করেন স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য মনিকা লেনন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি মেয়েদের ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ দূরীকরণে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। মনিকা লেনন বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে নারীদের ঋতুস্রাব থেমে থাকে না। কিন্তু মহামারীর সময়ে প্রয়োজনীয় তুলা, প্যাড ও অন্যান্য পণ্যগুলো সহজে পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। এজন্য আগের সব আইনের মতো এটিও পাস করা জরুরি ছিল।’
আইনের অধীনে স্কটিশ সরকার দেশজুড়ে পাবলিক টয়লেট থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের বাথরুমে এ ধরনের পণ্য রাখার ব্যবস্থা করবে। স্কটল্যান্ড শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিগত দুই বছর ধরে বিনামূল্যে ন্যাপকিন দিয়ে আসছে।
নারীদের ঋতুস্রাব সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এ সময় তুলা, প্যাড ও অন্যান্য পণ্য কিনতে অনেক মেয়েকেই হিমশিম খেতে হয়। স্কটল্যান্ডে নারীদের এজন্য প্রতি মাসে আট পাউন্ডের মতো খরচ করতে হয়, যা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব নয়। দুই হাজার নারীর ওপর পরিচালিত ইয়ং স্কটের এক জরিপে দেখা গেছে, স্কটল্যান্ডের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য পেতে উত্তরদাতাদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন বেকায়দায় পড়েন বলে জানান।
গবেষণায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে শতকরা ১০ শতাংশ মেয়ের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সামর্থ্য নেই। ১৫ শতাংশ মেয়েকে এসব পণ্য পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দামের কারণে ১৯ শতাংশ মেয়ে যথাযথ পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না।