আগেই অবসরে যাচ্ছেন আমেরিকানরা
রূপান্তর ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিশ্বে করোনা মহামারী পরিস্থিতি তৈরি হওয়া পর্যন্ত আমেরিকানদের চাকরিতে অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে মন্থর গতিই চলছিল। কিন্তু সেটা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। ৫৫ বছর বা এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে আগে অবসরে যাওয়ার হার ছিল ৫০ শতাংশ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি উদ্ভূত হওয়ার পর এই হার দুই শতাংশ বেড়েছে।
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আমেরিকার প্রায় অর্ধেক মানুষ (৪৯.৯ শতাংশ) ৬২ বছর বয়সের আগেই অবসর গ্রহণে আগ্রহী। এ সংখ্যা গত দুই বছরের তুলনায় দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর একটি কারণ হলো বহু সচ্ছল আমেরিকান এ ব্যাপারটিকে সহজভাবেই দেখছেন। স্টক মার্কেটের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত অবসরে যাওয়ার হার বাড়ছে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মধ্য দিয়ে জীবন পরিচালনায় পরিবর্তন আসায় অনেকের কাছেই এর গুরুত্ব বাড়ছে।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অনেক আমেরিকান নাগরিকের জীবনের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ১.৯ বছর কমেছে। আর এটা তাদের জীবনের সোনালি মুহূর্তের পথ খুঁজতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মজীবীরা আতঙ্কিত। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তরুণ সহকর্মীদের চেয়ে বয়স্কদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় অনেকেই অফিসে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।
তবে অনেক আমেরিকান নাগরিকই এ সময় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি। যেসব আমেরিকান বৈশ্বিক মহামারীতে স্থায়ীভাবে শেষবারের মতো চাকরি হারিয়েছেন তাদের সংখ্যা মহামারীর শুরুতে ছিল ১২ লাখের মতো। অন্যদিকে বয়োজ্যেষ্ঠ চাকরিজীবীরা এ সময় চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেছেন। নিউ ইয়র্কের নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষক তেরেসা গিলার্দুচি বলেন, প্রকৃত অর্থে যাদের চাকরি আছে আর যাদের চাকরি নেই, তাদের মধ্যে ব্যবধান প্রকট। সর্বোপরি, অবসর গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে এর প্রবণতা ভিন্ন।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যাদের কলেজের ডিগ্রি একেবারে নেই তাদের তুলনায় ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম লোকজন যাদের কলেজের ডিগ্রি রয়েছে, অবসর গ্রহণে তাদের আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে মহামারীর সময়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক যাদের কলেজের ডিগ্রি ছিল না তাদের শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের তুলনায় অধিক হারে কর্মক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের শিকার হতে হয়েছে। বহু বয়োজ্যেষ্ঠ যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা অন্য চাকরি খোঁজার আশা রাখছেন না।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিশ্বে করোনা মহামারী পরিস্থিতি তৈরি হওয়া পর্যন্ত আমেরিকানদের চাকরিতে অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে মন্থর গতিই চলছিল। কিন্তু সেটা এখন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। ৫৫ বছর বা এর বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে আগে অবসরে যাওয়ার হার ছিল ৫০ শতাংশ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি উদ্ভূত হওয়ার পর এই হার দুই শতাংশ বেড়েছে।
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আমেরিকার প্রায় অর্ধেক মানুষ (৪৯.৯ শতাংশ) ৬২ বছর বয়সের আগেই অবসর গ্রহণে আগ্রহী। এ সংখ্যা গত দুই বছরের তুলনায় দুই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর একটি কারণ হলো বহু সচ্ছল আমেরিকান এ ব্যাপারটিকে সহজভাবেই দেখছেন। স্টক মার্কেটের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত অবসরে যাওয়ার হার বাড়ছে। সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মধ্য দিয়ে জীবন পরিচালনায় পরিবর্তন আসায় অনেকের কাছেই এর গুরুত্ব বাড়ছে।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অনেক আমেরিকান নাগরিকের জীবনের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ১.৯ বছর কমেছে। আর এটা তাদের জীবনের সোনালি মুহূর্তের পথ খুঁজতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মজীবীরা আতঙ্কিত। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তরুণ সহকর্মীদের চেয়ে বয়স্কদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় অনেকেই অফিসে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।
তবে অনেক আমেরিকান নাগরিকই এ সময় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়েননি। যেসব আমেরিকান বৈশ্বিক মহামারীতে স্থায়ীভাবে শেষবারের মতো চাকরি হারিয়েছেন তাদের সংখ্যা মহামারীর শুরুতে ছিল ১২ লাখের মতো। অন্যদিকে বয়োজ্যেষ্ঠ চাকরিজীবীরা এ সময় চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেছেন। নিউ ইয়র্কের নিউ স্কুল ফর সোশ্যাল রিসার্চের গবেষক তেরেসা গিলার্দুচি বলেন, প্রকৃত অর্থে যাদের চাকরি আছে আর যাদের চাকরি নেই, তাদের মধ্যে ব্যবধান প্রকট। সর্বোপরি, অবসর গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে এর প্রবণতা ভিন্ন।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যাদের কলেজের ডিগ্রি একেবারে নেই তাদের তুলনায় ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম লোকজন যাদের কলেজের ডিগ্রি রয়েছে, অবসর গ্রহণে তাদের আগ্রহ কিছুটা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে মহামারীর সময়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক যাদের কলেজের ডিগ্রি ছিল না তাদের শ্বেতাঙ্গ সহকর্মীদের তুলনায় অধিক হারে কর্মক্ষেত্রে ছাঁটাইয়ের শিকার হতে হয়েছে। বহু বয়োজ্যেষ্ঠ যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা অন্য চাকরি খোঁজার আশা রাখছেন না।