ভারতীয়দের আধিপত্য সিলিকন ভ্যালিতে
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো বের সিলিকন ভ্যালিকে বিশে^র প্রযুক্তি কেন্দ্র বলার কারণ হচ্ছে বিশে^র বাঘা বাঘা যত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার অধিকাংশই এখানে অবস্থিত। সম্প্রতি টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ৩৭ বছর বয়সী জ্যাক ডরসি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে নতুন প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পান ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল। ২০১১ সালে টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন পরাগ। টুইটারে কাজ শুরুর আগে পরাগ মাইক্রোসফট, ইয়াহু ও এটিঅ্যান্ডটিতেও কাজ করেছেন। তিনি ভারতের আইআইটি থেকে স্নাতক ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ভারতের আরও এক শীর্ষ স্থান দখলকারী হলেন মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা। তিনি পড়াশোনা করেন মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। সেখান থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেন তিনি। স্টিভ বামারের কাছ থেকে সিইওর দায়িত্ব পান ২০১৪ সালে। পরে মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যানও করা হয় ৫৪ বছর বয়সী সত্য নাদেলাকে।
আরেক ভারতীয় সুন্দর পিচাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুগলের। খড়গপুর আইআইটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন পিচাই। ২০০৪ সালে যোগ দেন গুগলে। ২০১৫ সালে গুগলের সিইও হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এই ভারতীয়কে। ২০১৯ সালে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটেরও সিইও হন পিচাই।
প্রযুক্তি জায়ান্ট আইবিএমের অরবিন্দ কৃষ্ণ। আইআইটির ছাত্র ছিলেন তিনিও। ১৯৯০ সালে আইবিএমে যোগ দেন অরবিন্দ। ২০২০ সালে তাকে আইবিএমের সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে চেয়ারম্যানও হন অরবিন্দ।
পালো অল্টো নেটওয়ার্কসের নিকেশ অরোরাও রয়েছেন ভারতীয়দের তালিকায়। ২০১৮ সালে তাকে পালো অল্টো নেটওয়ার্কসের সিইও পদে নিয়োগ করা হয়। গুগল ছাড়াও সফট ব্যাংক, আভিভা, এয়ারটেলে কাজ করেছেন তিনি।
ভিমিওর অঞ্জলি সুদ। ভারতীয় শীর্ষদের তালিকায় নাম আছে ৩৮ বছর এই বয়সী কন্যার। ২০১১ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালে ভিমিওতে যোগ দেন অঞ্জলি। সিইও নিযুক্ত হন তিন বছরের মধ্যে। অ্যাডোবির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা শান্তনু নারায়ণ। ৫৮ বছর বয়সী এই দক্ষিণ ভারতীয়র সময়েই ফুলে ফেঁপে ওঠে অ্যাডোবি। এ ছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে আরও আছেন মাইক্রোনের সঞ্জয় মেহরোত্র, আরিস্টার জয়শ্রী উল্লাল, ফ্লেক্সের রেবতী অদ্বৈতি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো বের সিলিকন ভ্যালিকে বিশে^র প্রযুক্তি কেন্দ্র বলার কারণ হচ্ছে বিশে^র বাঘা বাঘা যত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার অধিকাংশই এখানে অবস্থিত। সম্প্রতি টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ৩৭ বছর বয়সী জ্যাক ডরসি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে নতুন প্রধান নির্বাহী পদে দায়িত্ব পান ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগারওয়াল। ২০১১ সালে টুইটারে যোগ দিয়েছিলেন পরাগ। টুইটারে কাজ শুরুর আগে পরাগ মাইক্রোসফট, ইয়াহু ও এটিঅ্যান্ডটিতেও কাজ করেছেন। তিনি ভারতের আইআইটি থেকে স্নাতক ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ভারতের আরও এক শীর্ষ স্থান দখলকারী হলেন মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা। তিনি পড়াশোনা করেন মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। সেখান থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেন তিনি। স্টিভ বামারের কাছ থেকে সিইওর দায়িত্ব পান ২০১৪ সালে। পরে মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যানও করা হয় ৫৪ বছর বয়সী সত্য নাদেলাকে।
আরেক ভারতীয় সুন্দর পিচাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুগলের। খড়গপুর আইআইটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন পিচাই। ২০০৪ সালে যোগ দেন গুগলে। ২০১৫ সালে গুগলের সিইও হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এই ভারতীয়কে। ২০১৯ সালে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটেরও সিইও হন পিচাই।
প্রযুক্তি জায়ান্ট আইবিএমের অরবিন্দ কৃষ্ণ। আইআইটির ছাত্র ছিলেন তিনিও। ১৯৯০ সালে আইবিএমে যোগ দেন অরবিন্দ। ২০২০ সালে তাকে আইবিএমের সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২১ সালে চেয়ারম্যানও হন অরবিন্দ।
পালো অল্টো নেটওয়ার্কসের নিকেশ অরোরাও রয়েছেন ভারতীয়দের তালিকায়। ২০১৮ সালে তাকে পালো অল্টো নেটওয়ার্কসের সিইও পদে নিয়োগ করা হয়। গুগল ছাড়াও সফট ব্যাংক, আভিভা, এয়ারটেলে কাজ করেছেন তিনি।
ভিমিওর অঞ্জলি সুদ। ভারতীয় শীর্ষদের তালিকায় নাম আছে ৩৮ বছর এই বয়সী কন্যার। ২০১১ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালে ভিমিওতে যোগ দেন অঞ্জলি। সিইও নিযুক্ত হন তিন বছরের মধ্যে। অ্যাডোবির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা শান্তনু নারায়ণ। ৫৮ বছর বয়সী এই দক্ষিণ ভারতীয়র সময়েই ফুলে ফেঁপে ওঠে অ্যাডোবি। এ ছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে আরও আছেন মাইক্রোনের সঞ্জয় মেহরোত্র, আরিস্টার জয়শ্রী উল্লাল, ফ্লেক্সের রেবতী অদ্বৈতি।