সন্ধান মিলবে এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের!
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিশ্বে এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় নাম এমএইচ৩৭০ ফ্লাইট। মালয়েশিয়ার এই বিমানটি উড্ডয়নের পর কোথায় হারিয়ে গেছে তা আজও বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ এক বিমানচালনাসংক্রান্ত প্রকৌশলী বলছেন, তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের করতে পেরেছেন কোথায় আছে এমএইচ৩৭০। এক বছর ধরে রিচার্ড গডফ্রে নামের ওই প্রকৌশলী এমএইচ৩৭০-এর অন্তর্ধান নিয়ে কাজ করছেন।
গডফ্রে বিশ্বাস করেন, বোয়িং৭৭৭ বিমানটি ভারত মহাসাগরের ২ হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের পার্থের কাছাকাছি কোথাও ভূপাতিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মার্চে বিমানটি রাডার থেকে স্রেফ উধাও হয়ে যায়। বিবিসিকে গডফ্রে বলেন, ‘আমরা জনগণকে এবং অ্যাভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের সঠিক উত্তর দিতে পারব। এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির কী ঘটেছিল তা তারা জানতে পারবেন, যাতে আমরা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পারি।’
এমএইচ৩৭০ উদ্ধারে একাধিক দেশ চেষ্টা করেছিল। ওই সব দেশের চেষ্টার ফলাফলে যে তথ্য রয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন গডফ্রে। সাবেক তদন্ত প্রতিবেদনগুলোর কোনোটিতেই গডফ্রের উল্লিখিত স্থানের নির্দেশনা নেই। ফলে এ নিয়ে দোলাচলে ভুগছেন অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার কর্র্তৃপক্ষ। কারণ এ দেশ দুটি এখনো এমএইচ৩৭০ উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গডফ্রে যেভাবে বলছেন তাতে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ৩৩ ডিগ্রি ও পূর্বে ৯৫ ডিগ্রি এলাকার মধ্যে বিমানটি থাকার কথা। ইতিমধ্যে গডফ্রের দল দুটি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছে। আর ওই অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই গডফ্রে নিশ্চিত হয়েছেন এমএইচ৩৭০-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে।
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কর্র্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিমানটি খুঁজতে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা আজও মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে এসে ভিড় করেন উত্তরের আশায়। এই এক কারণেই নতুন করে অনুসন্ধানের বিষয়টি এখনো বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। এখন নির্দিষ্ট স্থানে বিমানটির অনুসন্ধানে যে যন্ত্রাংশ দরকার তা গডফ্রের দলের কাছে নেই। সাগরের প্রায় চার হাজার মিটার গভীরে যেতে যে যন্ত্রাংশ দরকার, তা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছেই আছে শুধু। এ বিষয়ে গডফ্রে বিবিসিকে বলেন, ‘সাগরতলের কোনো খাজ বা ক্যানিয়নে হয়তো বিমানটির ভগ্নস্তূপ রয়েছে। সেখান থেকে যন্ত্রাংশ তুলে আনতে তিন থেকে চারটি ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা দাবি করেন এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই আফ্রিকার উপকূল ও ভারত মহাসাগরের কিছু দ্বীপে পাওয়া গেছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিশ্বে এয়ারলাইনসের ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় নাম এমএইচ৩৭০ ফ্লাইট। মালয়েশিয়ার এই বিমানটি উড্ডয়নের পর কোথায় হারিয়ে গেছে তা আজও বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ এক বিমানচালনাসংক্রান্ত প্রকৌশলী বলছেন, তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের করতে পেরেছেন কোথায় আছে এমএইচ৩৭০। এক বছর ধরে রিচার্ড গডফ্রে নামের ওই প্রকৌশলী এমএইচ৩৭০-এর অন্তর্ধান নিয়ে কাজ করছেন।
গডফ্রে বিশ্বাস করেন, বোয়িং৭৭৭ বিমানটি ভারত মহাসাগরের ২ হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের পার্থের কাছাকাছি কোথাও ভূপাতিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের মার্চে বিমানটি রাডার থেকে স্রেফ উধাও হয়ে যায়। বিবিসিকে গডফ্রে বলেন, ‘আমরা জনগণকে এবং অ্যাভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের সঠিক উত্তর দিতে পারব। এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির কী ঘটেছিল তা তারা জানতে পারবেন, যাতে আমরা ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পারি।’
এমএইচ৩৭০ উদ্ধারে একাধিক দেশ চেষ্টা করেছিল। ওই সব দেশের চেষ্টার ফলাফলে যে তথ্য রয়েছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন গডফ্রে। সাবেক তদন্ত প্রতিবেদনগুলোর কোনোটিতেই গডফ্রের উল্লিখিত স্থানের নির্দেশনা নেই। ফলে এ নিয়ে দোলাচলে ভুগছেন অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ার কর্র্তৃপক্ষ। কারণ এ দেশ দুটি এখনো এমএইচ৩৭০ উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গডফ্রে যেভাবে বলছেন তাতে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ৩৩ ডিগ্রি ও পূর্বে ৯৫ ডিগ্রি এলাকার মধ্যে বিমানটি থাকার কথা। ইতিমধ্যে গডফ্রের দল দুটি জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়েছে। আর ওই অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই গডফ্রে নিশ্চিত হয়েছেন এমএইচ৩৭০-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে।
অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কর্র্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই বিমানটি খুঁজতে কয়েক শ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা আজও মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে এসে ভিড় করেন উত্তরের আশায়। এই এক কারণেই নতুন করে অনুসন্ধানের বিষয়টি এখনো বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। এখন নির্দিষ্ট স্থানে বিমানটির অনুসন্ধানে যে যন্ত্রাংশ দরকার তা গডফ্রের দলের কাছে নেই। সাগরের প্রায় চার হাজার মিটার গভীরে যেতে যে যন্ত্রাংশ দরকার, তা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছেই আছে শুধু। এ বিষয়ে গডফ্রে বিবিসিকে বলেন, ‘সাগরতলের কোনো খাজ বা ক্যানিয়নে হয়তো বিমানটির ভগ্নস্তূপ রয়েছে। সেখান থেকে যন্ত্রাংশ তুলে আনতে তিন থেকে চারটি ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানীরা দাবি করেন এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই আফ্রিকার উপকূল ও ভারত মহাসাগরের কিছু দ্বীপে পাওয়া গেছে।