অর্ধেকে নেমেছে সেরামের টিকা উৎপাদন
রূপান্তর ডেস্ক | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নতুন করে টিকার কোনো অর্ডার না আসাতেই উৎপাদন কমে গেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিবিসি বলছে, সেরামের কাছে এখন কোভ্যাক্সের আধা বিলিয়ন ডোজ টিকা রয়েছে। বিপুলসংখ্যক টিকার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে অন্তত এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো টিকাদান কার্যক্রম সফল করার ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। সেরামের টিকা দিয়ে ভারত সরকার নিজেদের প্রয়োজন মেটাবে কি না তা এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর, টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি ফের প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। যদিও গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রচলিত করোনা টিকার সুরক্ষা বলয় ওমিক্রন ভেদ করতে পারে না।
এদিকে সেরামের প্রধান পুনাওয়ালা বিবিসিকে বলেন, ‘এমনটা হবে আমি তা কল্পনাও করিনি। মাসে আড়াইশ মিলিয়ন করে টিকা (কভিশিল্ড) উৎপাদন করে আসছিলাম আমরা। আমাদের যত অর্ডার ছিল তা আমরা শেষ করিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের যে সময় বেঁধে দিয়েছিল, তার মধ্যেই আমরা উৎপাদন শেষ করেছি। উৎপাদন কমে গেলেও একটা বিষয় স্বস্তির যে, ভারতের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। নতুন অর্ডার না থাকায় আমরা টিকার উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমিয়ে এনেছি।’ দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক প্রথা মুখোপাধ্যায় মনে করেন, কভিশিল্ড টিকার দুই ডোজের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করে টিকার সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। ভারতে ১৩০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ৮৩ মিলিয়নকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলেও, এখনো অনেকে টিকার বাইরে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনা জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।
কোভ্যাক্স এখন সেরামকে যে হারে টিকার অর্ডার দিচ্ছে, তার গতি অনেক মন্থর। কিন্তু তারপরও আদর পুনাওয়ালা বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এই জন্য যে, কোনো দেশের যদি টিকা প্রয়োজন হয়, তারা যেন সেরামকে সেই টিকার অর্ডার দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই আলাদা করে নতুন কোনো অর্ডার দেয়নি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নতুন করে টিকার কোনো অর্ডার না আসাতেই উৎপাদন কমে গেছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিবিসি বলছে, সেরামের কাছে এখন কোভ্যাক্সের আধা বিলিয়ন ডোজ টিকা রয়েছে। বিপুলসংখ্যক টিকার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে বলেও জানা যাচ্ছে।
ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে অন্তত এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো টিকাদান কার্যক্রম সফল করার ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। সেরামের টিকা দিয়ে ভারত সরকার নিজেদের প্রয়োজন মেটাবে কি না তা এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। বিশেষ করে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর, টিকার কার্যকারিতার বিষয়টি ফের প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। যদিও গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রচলিত করোনা টিকার সুরক্ষা বলয় ওমিক্রন ভেদ করতে পারে না।
এদিকে সেরামের প্রধান পুনাওয়ালা বিবিসিকে বলেন, ‘এমনটা হবে আমি তা কল্পনাও করিনি। মাসে আড়াইশ মিলিয়ন করে টিকা (কভিশিল্ড) উৎপাদন করে আসছিলাম আমরা। আমাদের যত অর্ডার ছিল তা আমরা শেষ করিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের যে সময় বেঁধে দিয়েছিল, তার মধ্যেই আমরা উৎপাদন শেষ করেছি। উৎপাদন কমে গেলেও একটা বিষয় স্বস্তির যে, ভারতের জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। নতুন অর্ডার না থাকায় আমরা টিকার উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমিয়ে এনেছি।’ দিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক প্রথা মুখোপাধ্যায় মনে করেন, কভিশিল্ড টিকার দুই ডোজের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করে টিকার সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। ভারতে ১৩০ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ৮৩ মিলিয়নকে টিকা দেওয়া সম্ভব হলেও, এখনো অনেকে টিকার বাইরে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকার আওতায় আনা জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।
কোভ্যাক্স এখন সেরামকে যে হারে টিকার অর্ডার দিচ্ছে, তার গতি অনেক মন্থর। কিন্তু তারপরও আদর পুনাওয়ালা বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এই জন্য যে, কোনো দেশের যদি টিকা প্রয়োজন হয়, তারা যেন সেরামকে সেই টিকার অর্ডার দেয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই আলাদা করে নতুন কোনো অর্ডার দেয়নি।