সৌদির পররাষ্ট্রনীতিতে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
রূপান্তর ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য কোনো খবরই যেন ভালো নয়। ২০১৫ সালের পর থেকেই এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সে সময়কার স্বল্প পরিচিত সালমান সৌদি যুবরাজ থেকে দেশটির ডি-ফ্যাক্টো শাসক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তখন থেকেই একের পর এক অঘটন এবং অপকর্মের জন্য দায়ী হয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে সৌদি আরব তেমন কোনো বড় বিপর্যয়ের ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়নি। এর অন্যতম কারণ সৌদি আরবের বিধ্বংসী পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন। কাতারকে অবরুদ্ধ করে সৌদি আরব বড় কোনো সাফল্য পায়নি। একইভাবে সাদ হারিরির অপহরণও লেবাননের রাজনীতিতে সৌদি আরবের পক্ষে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরও সৌদি আরব তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবে। এটা হয়তো পুরনো দুই শত্রুর মধ্যে একেবারে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে না, তবে ২০১৯ সালে সৌদি তেল স্থাপনায় ইরান সমর্থিত হামলার মতো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষের ঝুঁকি কমাবে।
নিজ দেশে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সমর্থকরা মনে করেন, তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তার সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে নতুন যুগের সূচনা হবে। তিনি হবেন সৌদির নতুন প্রজন্মের প্রথম শাসক।
যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অবস্থান নিরাপদ বলেই মনে হয়। দেশের ভেতরে তিনি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব কমিয়ে তিনি সৌদি আরবের পরিবেশকে তুলনামূলক সহনশীল করে তুলেছেন বলেও মনে করে অনেকেই। তবে জনপ্রিয় থাকার জন্য তাকে দ্রুত বেকারত্ব হ্রাস করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। মহামারীর কারণে দেশটিতে বেকারত্ব ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিলে একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চাকরিরত সৌদিদের অর্ধেক মানুষ কর্মক্ষেত্রে ভালো নেই। তারা ন্যায্য বেতন পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য যুবরাজের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল হাজার ফুল ফুটতে দেওয়া। ২০২২ সালে তিনি হয়তো আরও কিছু সুচিন্তিত গঠনমূলক উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে সফল প্রতিবেশীদের অনুকরণ করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট পন্থা হলো উপসাগরের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ব্যবসায়ে দখল বাড়ানো। গত জুলাই মাসে আমিরাতি পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক ৩৩ শতাংশ কমিয়েছে সৌদি আরব।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য কোনো খবরই যেন ভালো নয়। ২০১৫ সালের পর থেকেই এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সে সময়কার স্বল্প পরিচিত সালমান সৌদি যুবরাজ থেকে দেশটির ডি-ফ্যাক্টো শাসক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তখন থেকেই একের পর এক অঘটন এবং অপকর্মের জন্য দায়ী হয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে সৌদি আরব তেমন কোনো বড় বিপর্যয়ের ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়নি। এর অন্যতম কারণ সৌদি আরবের বিধ্বংসী পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন। কাতারকে অবরুদ্ধ করে সৌদি আরব বড় কোনো সাফল্য পায়নি। একইভাবে সাদ হারিরির অপহরণও লেবাননের রাজনীতিতে সৌদি আরবের পক্ষে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরও সৌদি আরব তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবে। এটা হয়তো পুরনো দুই শত্রুর মধ্যে একেবারে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে না, তবে ২০১৯ সালে সৌদি তেল স্থাপনায় ইরান সমর্থিত হামলার মতো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষের ঝুঁকি কমাবে।
নিজ দেশে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের সমর্থকরা মনে করেন, তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তার সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে নতুন যুগের সূচনা হবে। তিনি হবেন সৌদির নতুন প্রজন্মের প্রথম শাসক।
যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের অবস্থান নিরাপদ বলেই মনে হয়। দেশের ভেতরে তিনি বেশ জনপ্রিয়। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব কমিয়ে তিনি সৌদি আরবের পরিবেশকে তুলনামূলক সহনশীল করে তুলেছেন বলেও মনে করে অনেকেই। তবে জনপ্রিয় থাকার জন্য তাকে দ্রুত বেকারত্ব হ্রাস করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। মহামারীর কারণে দেশটিতে বেকারত্ব ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিলে একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চাকরিরত সৌদিদের অর্ধেক মানুষ কর্মক্ষেত্রে ভালো নেই। তারা ন্যায্য বেতন পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য যুবরাজের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল হাজার ফুল ফুটতে দেওয়া। ২০২২ সালে তিনি হয়তো আরও কিছু সুচিন্তিত গঠনমূলক উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে সফল প্রতিবেশীদের অনুকরণ করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। এক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট পন্থা হলো উপসাগরের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ব্যবসায়ে দখল বাড়ানো। গত জুলাই মাসে আমিরাতি পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক ৩৩ শতাংশ কমিয়েছে সৌদি আরব।