সমুদ্রের তলদেশে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও এর কারণে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত টোঙ্গায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ত্রাণবাহী উড়োজাহাজ পৌঁছেছে। পাঁচ দিন বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকার পর এই প্রথম টোঙ্গা মানবিক সাহায্য পেল বলে জানিয়েছে এএফপি।

অতি প্রয়োজনীয় সাহায্যসামগ্রী নিয়ে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়োজাহাজ টোঙ্গায় পৌঁছেছে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে উড়ে আসা ছাইয়ের পুরু আস্তরণে ঢেকে যাওয়া টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিষ্কার করেছেন কয়েকশ কর্মী। গত শনিবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও পরে সুনামির আঘাতে দেশটিতে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রটি ছাইয়ের চাদরে ঢেকে গেছে। ছাই মিশে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা দূষিত হয়ে পড়েছে। এতে দেশটির অনেকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।  স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্ধারকারী দলের কয়েকশ সদস্য কয়েক দিন ধরে ঠেলাগাড়ি ও বেলচা দিয়ে পিচঢালা রানওয়ে থেকে ছাই সরানোর কাজ করছেন। তাদের প্রচেষ্টায় গত বুধবার দেশটির রাজধানী নুকুয়ালোফার বিমানবন্দর থেকে ছাইয়ের পুরু আস্তরণ পরিষ্কার করার কাজ শেষ হয়েছে।

টোঙ্গা সরকারি কর্র্তৃপক্ষ সরাসরি কারও সংস্পর্শে না এসে সাহায্যসামগ্রীগুলো ফেলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কর্র্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বাইরের কারও সংস্পর্শে এলে দেশটিতে করোনার বিস্তার ঘটতে পারে। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কারণ মহামারীর দুই বছরে দেশটিতে এ পর্যন্ত মাত্র একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিনি হেনার নিশ্চিত করেছেন, কারও সংস্পর্শে না এসেই সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার অন্যান্য সাহায্যসামগ্রী নিয়ে নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ টোঙ্গা উপকূলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেনার বিবিসিকে বলেন, সাহায্য নিয়ে যাওয়া জাহাজটিতে আড়াই লাখ লিটারেরও বেশি নিরাপদ পানি ও পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। টোঙ্গায় ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিসেলের মাধ্যমে টুজি সংযোগ চালু হলেও সেবা নির্বিঘ্ন নয়।