মোদিবিরোধী প্রধান মুখ মমতা
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা দাবি করতে শুরু করেছিলেন যে, বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘প্রধান মুখ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও কংগ্রেস তাদের সেই দাবিকে নাকচ করেছে বারবার। কিন্তু এবার ভারতেরই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ তাদের সমীক্ষায় দাবি করল, বর্তমানে ভারতে বিরোধী জোটের নেতা হিসেবেই মমতাই প্রথম পছন্দ আমজনতার।
এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তালিকায় অনেক পিছিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অব দ্য নেশন’ জরিপের ফলাফলে দাবি করা হয়, নরেন্দ্র মোদির বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকে পছন্দ করছেন ভারতের ১৭ শতাংশ মানুষ। আর বিরোধী দলের মুখ হিসেবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে চাইছেন মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ।
জরিপের ফল অনুসারে, আগের তুলনায় জনপ্রিয়তা কমেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। ২০২০ সালের আগস্টে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর মোদির জনপ্রিয়তা ছিল ৭৮ শতাংশ। তবে গত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের জেরে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। জরিপ অনুসারে, বর্তমানে ভারতের ৬৩ শতাংশ মানুষ মোদিতে সন্তুষ্ট।
এদিকে সর্বভারতীয় স্তরে শুধু বিরোধী মুখ হিসেবেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও মমতার জনপ্রিয়তা অনেক এগিয়ে। দেশের জনপ্রিয়তম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় মমতা রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। নিজের রাজ্যে তার জনপ্রিয়তা ৭১ শতাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মমতার জনপ্রিয়তা ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় প্রথম ছয়ে নেই বিজেপি শাসিত কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সপ্তম স্থানে রয়েছেন আসামের হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। এ তালিকায় মমতার পর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তামিলনাড়–র মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মমতাকে মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই মোদিবিরোধী জোট গঠনের জন্য মমতাও মাঠে নেমেছেন। বার্তা দিচ্ছেন মোদিবিরোধী জোট গঠনের। রাজনৈতিক মহলও এখন এমনটা মনে করছে; মমতাই পারবেন মোদিকে রাজনৈতিক ময়দানে বেগ দিতে। তার সাহস রয়েছে, মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি রয়েছে। দেশ শাসন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রয়েছে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দপ্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতা, ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতাসহ সাংগঠনিক দক্ষতা। ইতিমধ্যে মমতা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা দাবি করতে শুরু করেছিলেন যে, বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘প্রধান মুখ’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যদিও কংগ্রেস তাদের সেই দাবিকে নাকচ করেছে বারবার। কিন্তু এবার ভারতেরই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ তাদের সমীক্ষায় দাবি করল, বর্তমানে ভারতে বিরোধী জোটের নেতা হিসেবেই মমতাই প্রথম পছন্দ আমজনতার।
এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তালিকায় অনেক পিছিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ইন্ডিয়া টুডের ‘মুড অব দ্য নেশন’ জরিপের ফলাফলে দাবি করা হয়, নরেন্দ্র মোদির বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকে পছন্দ করছেন ভারতের ১৭ শতাংশ মানুষ। আর বিরোধী দলের মুখ হিসেবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে চাইছেন মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ।
জরিপের ফল অনুসারে, আগের তুলনায় জনপ্রিয়তা কমেছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। ২০২০ সালের আগস্টে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর মোদির জনপ্রিয়তা ছিল ৭৮ শতাংশ। তবে গত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের জেরে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। জরিপ অনুসারে, বর্তমানে ভারতের ৬৩ শতাংশ মানুষ মোদিতে সন্তুষ্ট।
এদিকে সর্বভারতীয় স্তরে শুধু বিরোধী মুখ হিসেবেই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও মমতার জনপ্রিয়তা অনেক এগিয়ে। দেশের জনপ্রিয়তম মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকায় মমতা রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। নিজের রাজ্যে তার জনপ্রিয়তা ৭১ শতাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মমতার জনপ্রিয়তা ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় প্রথম ছয়ে নেই বিজেপি শাসিত কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সপ্তম স্থানে রয়েছেন আসামের হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। এ তালিকায় মমতার পর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তামিলনাড়–র মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মমতাকে মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাই মোদিবিরোধী জোট গঠনের জন্য মমতাও মাঠে নেমেছেন। বার্তা দিচ্ছেন মোদিবিরোধী জোট গঠনের। রাজনৈতিক মহলও এখন এমনটা মনে করছে; মমতাই পারবেন মোদিকে রাজনৈতিক ময়দানে বেগ দিতে। তার সাহস রয়েছে, মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি রয়েছে। দেশ শাসন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রয়েছে তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দপ্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতা, ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতাসহ সাংগঠনিক দক্ষতা। ইতিমধ্যে মমতা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।