বিদেশি কর্মী নিয়োগে কোটা বাতিল মালয়েশিয়ায়
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
বিদেশি কর্মী নিয়োগে এখন থেকে আর কোনো স্পেশাল কোটা ব্যবস্থা থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। গতকাল শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন বিদেশি কর্মী নিয়োগে স্পেশাল কোটা বাতিলের তথ্য প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিনি বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
সাংবাদিকদের দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন আরও বলেন, লোকজন যাই বলুক না কেন; কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এ খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানতে হবে। ধরা যাক, কোনো বাগানে কাজের জন্য এক হাজার কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। হামজাহ বলেন, যদি কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ না করা হয় এবং অবাধ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকে, তাহলে বিদেশি কর্মীরা শর্ত এবং মানদণ্ড না মেনেই দেশে প্রবেশ করবেন। এর ফলে কর্মীদের কল্যাণের ব্যাপারে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।
এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগকর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। বিদেশি কর্মী নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিককালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো একই কঠোর নীতি গ্রহণ করছে মালয়েশিয়া। গত বছরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার সরকার দেশটিতে থাকা অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার ও পরবর্তী সময়ে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনার ভিত্তিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

বিদেশি কর্মী নিয়োগে এখন থেকে আর কোনো স্পেশাল কোটা ব্যবস্থা থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। গতকাল শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন বিদেশি কর্মী নিয়োগে স্পেশাল কোটা বাতিলের তথ্য প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিনি বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
সাংবাদিকদের দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন আরও বলেন, লোকজন যাই বলুক না কেন; কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এ খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানতে হবে। ধরা যাক, কোনো বাগানে কাজের জন্য এক হাজার কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। হামজাহ বলেন, যদি কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ না করা হয় এবং অবাধ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু থাকে, তাহলে বিদেশি কর্মীরা শর্ত এবং মানদণ্ড না মেনেই দেশে প্রবেশ করবেন। এর ফলে কর্মীদের কল্যাণের ব্যাপারে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।
এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগকর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। বিদেশি কর্মী নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিককালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মতো একই কঠোর নীতি গ্রহণ করছে মালয়েশিয়া। গত বছরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার সরকার দেশটিতে থাকা অবৈধ শ্রমিকদের গ্রেপ্তার ও পরবর্তী সময়ে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনার ভিত্তিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।