ডিজিটাল শেষকৃত্য
রূপান্তর ডেস্ক | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০
মানুষ মরে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই মৃত্যু কখনো শোকের হওয়া উচিত নয়, প্রয়োজন নেই শোকে মোড়া আনুষ্ঠানিক শেষকৃত্যেরও! মৃত্যুকে বিবেচনা করতে হবে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া হিসেবে। স্বজনদের ছাড়াই মরদেহের দাফন বা দাহ করবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। আর মৃত্যুর আগে স্বজনদের জন্য দেওয়া কোনো বার্তা বা তাদের সঙ্গে বিশেষ কোনো মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও সংরক্ষণ করবে সমাধি ফলকেই। দূরে থাকা কোনো স্বজন যেকোনো সময় সমাধির পাশে এসে দেখতে পারবেন সেই বার্তা বা ছবি-ভিডিও।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে মৃত্যু ও শেষকৃত্য নিয়ে এমন অভিবন এক উদ্যোগ নিয়েছে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বলছে, কারও মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত না হয়ে বরং কীভাবে মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের মধ্যে অস্তিত্বমান করা যায় তারই একটা উপায় খুঁজে পেয়েছে তারা। ফলে মৃত ব্যক্তি নিজের কবরের পেছনেই ‘ডিজিটালি জীবিত’ থাকবেন দীর্ঘদিন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনব এ শেষকৃত্যের বিষয়টিতে সাড়াও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে করোনার মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষ যখন স্বজনদের থেকে দূরে একা একা মারা গেছেন, তাদের শেষকৃত্য হয়েছে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তখন ‘মৃত্যু’ নিয়ে মানুষের নতুন উপলব্ধি হয়েছে। আর নেটফ্লিক্সের একটি সিরিজ এখন এসে সেই উপলব্ধিকে নতুন করে নাড়া দিচ্ছে। জার্মানিতেই তৈরি ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ল্ড’ ওয়েব সিরিজটি।
জার্মানির উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে ‘জীবন এবং মৃত্যু ২০২২’ নামের একটি শেষকৃত্য মেলায় সম্প্রতি নতুন ধরনের এ শেষকৃত্যের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইয়োলো। সেখানে তারা উত্তর জার্মানি লুথেরান শহরের মৃত্যু ও তার পরবর্তী প্রক্রিয়া এবং তারা যেভাবে শেষকৃত্য করতে চায় তারও তুলনামূলক দৃশ্যকল্প উপস্থাপন করে। মেলায় আসা দর্শনার্থীরাও তাদের শেষযাত্রার বিকল্প উপায় পছন্দ করেছেন। মৃত্যুর বিকল্প পথ নিয়ে যতটা কল্পনা করা যায় ততটা বাস্তবায়ন মোটেই সহজ নয়। সমাজের দীর্ঘদিনের রীতি বা ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এ ক্ষেত্রে। তবে উদ্যোক্তা কোরিন্না ডুরিং আশাবাদী। তার দাবি, একসময় মানুষ শেষকৃত্যের বিকল্প উপায়কেই বেছে নেবে। প্রকৃতির অমোঘ বাস্তবতাও উপলব্ধি করবে। করোনা মহামারী পৃথিবীকে সেই বাস্তবতার মুখোমুখি ইতিমধ্যে দাঁড় করিয়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০

মানুষ মরে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই মৃত্যু কখনো শোকের হওয়া উচিত নয়, প্রয়োজন নেই শোকে মোড়া আনুষ্ঠানিক শেষকৃত্যেরও! মৃত্যুকে বিবেচনা করতে হবে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া হিসেবে। স্বজনদের ছাড়াই মরদেহের দাফন বা দাহ করবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। আর মৃত্যুর আগে স্বজনদের জন্য দেওয়া কোনো বার্তা বা তাদের সঙ্গে বিশেষ কোনো মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও সংরক্ষণ করবে সমাধি ফলকেই। দূরে থাকা কোনো স্বজন যেকোনো সময় সমাধির পাশে এসে দেখতে পারবেন সেই বার্তা বা ছবি-ভিডিও।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে মৃত্যু ও শেষকৃত্য নিয়ে এমন অভিবন এক উদ্যোগ নিয়েছে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বলছে, কারও মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত না হয়ে বরং কীভাবে মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের মধ্যে অস্তিত্বমান করা যায় তারই একটা উপায় খুঁজে পেয়েছে তারা। ফলে মৃত ব্যক্তি নিজের কবরের পেছনেই ‘ডিজিটালি জীবিত’ থাকবেন দীর্ঘদিন।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনব এ শেষকৃত্যের বিষয়টিতে সাড়াও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ করে করোনার মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষ যখন স্বজনদের থেকে দূরে একা একা মারা গেছেন, তাদের শেষকৃত্য হয়েছে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই তখন ‘মৃত্যু’ নিয়ে মানুষের নতুন উপলব্ধি হয়েছে। আর নেটফ্লিক্সের একটি সিরিজ এখন এসে সেই উপলব্ধিকে নতুন করে নাড়া দিচ্ছে। জার্মানিতেই তৈরি ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ল্ড’ ওয়েব সিরিজটি।
জার্মানির উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে ‘জীবন এবং মৃত্যু ২০২২’ নামের একটি শেষকৃত্য মেলায় সম্প্রতি নতুন ধরনের এ শেষকৃত্যের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইয়োলো। সেখানে তারা উত্তর জার্মানি লুথেরান শহরের মৃত্যু ও তার পরবর্তী প্রক্রিয়া এবং তারা যেভাবে শেষকৃত্য করতে চায় তারও তুলনামূলক দৃশ্যকল্প উপস্থাপন করে। মেলায় আসা দর্শনার্থীরাও তাদের শেষযাত্রার বিকল্প উপায় পছন্দ করেছেন। মৃত্যুর বিকল্প পথ নিয়ে যতটা কল্পনা করা যায় ততটা বাস্তবায়ন মোটেই সহজ নয়। সমাজের দীর্ঘদিনের রীতি বা ধর্মীয় ভাবাবেগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এ ক্ষেত্রে। তবে উদ্যোক্তা কোরিন্না ডুরিং আশাবাদী। তার দাবি, একসময় মানুষ শেষকৃত্যের বিকল্প উপায়কেই বেছে নেবে। প্রকৃতির অমোঘ বাস্তবতাও উপলব্ধি করবে। করোনা মহামারী পৃথিবীকে সেই বাস্তবতার মুখোমুখি ইতিমধ্যে দাঁড় করিয়েছে।