কে এই আলবানিজ?
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ মে, ২০২২ ০০:০০
অস্ট্রেলিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় পর লেবার পার্টিকে নির্বাচনে জিতিয়ে ক্ষমতায় ফেরানো অ্যান্থনি আলবানিজই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। দেশটিতে যে অল্প কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন, আলবানিজ তাদের অন্যতম। ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল জোটকে সরিয়ে দিতে কাজ করা এ রাজনীতিক ভোটারদের ‘নিরাপদ পরিবর্তনের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা হারানো প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজেই নিজেকে ‘বুলডোজার’ বলেছিলেন; তার বিপরীতে আলবানিজের অঙ্গীকার ‘নির্মাতা’ হওয়ার।
অস্ট্রেলিয়ায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা টিকিয়ে রাখার পক্ষের যোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা আলবানিজ সমকামী সম্প্রদায়ের সমর্থক, একজন প্রজাতন্ত্রী ও রাগবি লিগ অনুরাগী। আলবো নামে পরিচিত ৫৯ বছর বয়সী এ রাজনীতিক বড় হয়েছেন সোশ্যাল হাউজিংয়ে, শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য থাকা পেনশনের ওপর নির্ভরশীল মায়ের পরিচর্যায়। এভাবে বড় হওয়াই তার প্রগতিশীল বিশ্বাসের ভিত গড়ে দিয়েছিল বলে এখনো প্রায়ই বলেন এ লেবার নেতা। ছোটবেলায় আলবানিজের ধারণা ছিল, জন্মের আগেই তার বাবা মারা গেছেন। পরে কৈশোরে জানতে পারেন, ইউরোপ ভ্রমণের সময় এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার পর তার মা গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। তারও তিন দশক পর কার্লো আলবানিজের খোঁজ পান। অ্যান্থনি ইতালিতে উড়ে গেলে পিতা-পুত্রের প্রথমবার দেখা হয়। অ্যান্থনি তার সৎভাই-বোনদেরও দেখা পান সেখানে। ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষে ২০১৯ সালে স্ত্রী কারমেল টেবুটের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এখনকার সঙ্গী জোডি হেইডোন নির্বাচনী প্রচারণায়ও তাকে সঙ্গ দিয়েছেন।
আলবানিজ গত তিন বছর ধরে লেবার পার্টির নেতৃত্বে আছেন। পার্লামেন্টে নির্বাচনে হেরে পূর্বসূরি বিল শর্টেন দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৯ সালে তিনি দলের শীর্ষ পদে আসেন। আলবানিজের বয়স যখন ২০-এর ঘরে ছিল, তখন থেকেই তিনি লেবার পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী। ১৯৯৬ সালে, নিজের ৩৩তম জন্মদিনে সিডনির একটি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি সামনের কাতারে চলে আসেন। ২০০৭ সালে কেভিন রুডের হাত ধরে লেবার পার্টি অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় এলে আলবানিজ অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালে রুডকে সরিয়ে জুলিয়া গিলার্ড লেবার পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার পর টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হলেও আলবানিজের গুরুত্ব কমেনি। ২০১৩ সালে রুড ফের প্রধানমন্ত্রিত্ব পেলে আলবানিজ পদোন্নতি পান, হন উপপ্রধানমন্ত্রী। তবে লেবার পার্টি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এই পদে ১০ সপ্তাহের বেশি থাকতে পারেননি তিনি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ মে, ২০২২ ০০:০০

অস্ট্রেলিয়ায় এক দশকেরও বেশি সময় পর লেবার পার্টিকে নির্বাচনে জিতিয়ে ক্ষমতায় ফেরানো অ্যান্থনি আলবানিজই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। দেশটিতে যে অল্প কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন, আলবানিজ তাদের অন্যতম। ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল জোটকে সরিয়ে দিতে কাজ করা এ রাজনীতিক ভোটারদের ‘নিরাপদ পরিবর্তনের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা হারানো প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নিজেই নিজেকে ‘বুলডোজার’ বলেছিলেন; তার বিপরীতে আলবানিজের অঙ্গীকার ‘নির্মাতা’ হওয়ার।
অস্ট্রেলিয়ায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা টিকিয়ে রাখার পক্ষের যোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা আলবানিজ সমকামী সম্প্রদায়ের সমর্থক, একজন প্রজাতন্ত্রী ও রাগবি লিগ অনুরাগী। আলবো নামে পরিচিত ৫৯ বছর বয়সী এ রাজনীতিক বড় হয়েছেন সোশ্যাল হাউজিংয়ে, শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য থাকা পেনশনের ওপর নির্ভরশীল মায়ের পরিচর্যায়। এভাবে বড় হওয়াই তার প্রগতিশীল বিশ্বাসের ভিত গড়ে দিয়েছিল বলে এখনো প্রায়ই বলেন এ লেবার নেতা। ছোটবেলায় আলবানিজের ধারণা ছিল, জন্মের আগেই তার বাবা মারা গেছেন। পরে কৈশোরে জানতে পারেন, ইউরোপ ভ্রমণের সময় এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে মেলামেশার পর তার মা গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। তারও তিন দশক পর কার্লো আলবানিজের খোঁজ পান। অ্যান্থনি ইতালিতে উড়ে গেলে পিতা-পুত্রের প্রথমবার দেখা হয়। অ্যান্থনি তার সৎভাই-বোনদেরও দেখা পান সেখানে। ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষে ২০১৯ সালে স্ত্রী কারমেল টেবুটের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। এখনকার সঙ্গী জোডি হেইডোন নির্বাচনী প্রচারণায়ও তাকে সঙ্গ দিয়েছেন।
আলবানিজ গত তিন বছর ধরে লেবার পার্টির নেতৃত্বে আছেন। পার্লামেন্টে নির্বাচনে হেরে পূর্বসূরি বিল শর্টেন দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৯ সালে তিনি দলের শীর্ষ পদে আসেন। আলবানিজের বয়স যখন ২০-এর ঘরে ছিল, তখন থেকেই তিনি লেবার পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী। ১৯৯৬ সালে, নিজের ৩৩তম জন্মদিনে সিডনির একটি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি সামনের কাতারে চলে আসেন। ২০০৭ সালে কেভিন রুডের হাত ধরে লেবার পার্টি অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় এলে আলবানিজ অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালে রুডকে সরিয়ে জুলিয়া গিলার্ড লেবার পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার পর টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হলেও আলবানিজের গুরুত্ব কমেনি। ২০১৩ সালে রুড ফের প্রধানমন্ত্রিত্ব পেলে আলবানিজ পদোন্নতি পান, হন উপপ্রধানমন্ত্রী। তবে লেবার পার্টি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এই পদে ১০ সপ্তাহের বেশি থাকতে পারেননি তিনি।