তেল বিক্রিতে সৌদি রাশিয়ার প্রতিযোগিতা
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
এশিয়ায় জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়েছে রাশিয়া। ওপেক প্লাসের অন্যতম মিত্র সৌদি আরবের তুলনায় কমমূল্যে ভারতের কাছে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করছে মস্কো। গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত রাশিয়ার তেলের ব্যারেলের দাম ছিল মূল্যছাড় দিয়ে ১৯ ডলার। ফলে এশিয়ার পরাশক্তিধর দেশ ভারত এখন সৌদির তুলনায় রাশিয়া থেকেই বেশি তেল কিনছে।
বর্তমানে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম ক্রেতা চীন ও ভারত। দেশটি তার তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করে। কমমূল্যে তেল পাওয়ার কারণে এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় ভারতে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। নয়াদিল্লির পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে দেশটি ৪৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। গত বছর একই সময়ে এ আমদানির পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
সিঙ্গাপুরের বান্দা ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভারতীয় শোধনকারীরা তাদের শোধনাগার ও পণ্য কনফিগারেশনের সঙ্গে কাজ করে এমন সম্ভাব্য সবচেয়ে সস্তা অপরিশোধিত তেলের জন্য হাত পেতে আছে। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আপাতত সেই চাহিদা মেটাচ্ছে। সৌদি এবং ইরাক ইউরোপে আরও তেল সরবরাহ করে বাজার ধরে রেখেছে।’
গত জুন মাসে সৌদির অপরিশোধিত তেলের বিপরীতে রুশ তেলের ছাড় কিছুটা সংকুচিত হলে, এখনো রুশ তেলের ব্যারেল ১৩ ডলারে, যেখানে অন্যরা বিক্রি করছে গড়ে ১০২ ডলারে। এমন অবস্থায় সৌদি আরব এশিয়ায় তেল বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নীতি নিয়েছে। নীতি মোতাবেক এশিয়ায় তেল বিক্রি যেমন কমাতে চাইছে রিয়াদ, পাশাপাশি তেল বিক্রি করলে তা অধিক মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সৌদির এমন সিদ্ধান্তে এশিয়ার অন্য দেশগুলো বিপাকে পড়লেও, ভারতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। উল্টো নয়াদিল্লি এখন আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি রুশ তেল কিনছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

এশিয়ায় জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়েছে রাশিয়া। ওপেক প্লাসের অন্যতম মিত্র সৌদি আরবের তুলনায় কমমূল্যে ভারতের কাছে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করছে মস্কো। গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত রাশিয়ার তেলের ব্যারেলের দাম ছিল মূল্যছাড় দিয়ে ১৯ ডলার। ফলে এশিয়ার পরাশক্তিধর দেশ ভারত এখন সৌদির তুলনায় রাশিয়া থেকেই বেশি তেল কিনছে।
বর্তমানে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম ক্রেতা চীন ও ভারত। দেশটি তার তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশই আমদানি করে। কমমূল্যে তেল পাওয়ার কারণে এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় ভারতে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। নয়াদিল্লির পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে দেশটি ৪৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। গত বছর একই সময়ে এ আমদানির পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
সিঙ্গাপুরের বান্দা ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভারতীয় শোধনকারীরা তাদের শোধনাগার ও পণ্য কনফিগারেশনের সঙ্গে কাজ করে এমন সম্ভাব্য সবচেয়ে সস্তা অপরিশোধিত তেলের জন্য হাত পেতে আছে। রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আপাতত সেই চাহিদা মেটাচ্ছে। সৌদি এবং ইরাক ইউরোপে আরও তেল সরবরাহ করে বাজার ধরে রেখেছে।’
গত জুন মাসে সৌদির অপরিশোধিত তেলের বিপরীতে রুশ তেলের ছাড় কিছুটা সংকুচিত হলে, এখনো রুশ তেলের ব্যারেল ১৩ ডলারে, যেখানে অন্যরা বিক্রি করছে গড়ে ১০২ ডলারে। এমন অবস্থায় সৌদি আরব এশিয়ায় তেল বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নীতি নিয়েছে। নীতি মোতাবেক এশিয়ায় তেল বিক্রি যেমন কমাতে চাইছে রিয়াদ, পাশাপাশি তেল বিক্রি করলে তা অধিক মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সৌদির এমন সিদ্ধান্তে এশিয়ার অন্য দেশগুলো বিপাকে পড়লেও, ভারতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। উল্টো নয়াদিল্লি এখন আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি রুশ তেল কিনছে।