
ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় ঘটলে তা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করে দিয়েছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে এই সতর্কবাণী দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান মেদভেদেভ বলেছেন, ‘প্রচলিত যুদ্ধে পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাশিয়ার পরাজয় পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’ তিনি আরও বলেন, ন্যাটো এবং পশ্চিমের অন্যান্য প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়ে যুদ্ধের কৌশল ও ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার পশ্চিমের প্রচেষ্টার সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে তাদের নীতির ঝুঁকির বিষয়েও চিন্তা করা উচিত। এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক ওয়ারহেডের দখল রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। কক্সবাজার জেলার টেকনাফে অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় পায় তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আশ্রয় শিবির থেকেও পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তাদের মধ্যে দলে দলে কাঠের নৌকায় চেপে বঙ্গোপসাগর, আন্দামান পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, ২০২২ সাল শেষে চরম ঝুঁকি নিয়ে নৌযাত্রা করা রোহিঙ্গাদের হার ৩৬০ শতাংশ বেড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জাতিসংঘের বরাতে জানায়, প্রায় ৭’শর মতো রোহিঙ্গা ২০২১ সালে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় যেতে সাগরপথ বেছে নিয়েছিল। কেবল ২০২২ সালেই ৩৯টির বেশি কাঠের নৌকায় চেপে সাগরপাড়ি দিতে চেয়েছে ৩ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা। ফলে মানবপাচারের সেই পুরনো রুটে আবার চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ২০১৫ সালের বিভীষিকাময় এই সাগরপথ পাড়ি দিতে চাওয়াদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল থাইল্যান্ডের উপকূলবর্তী বনে। এছাড়া ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রায় শুধু ২০২২ সালেই আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। এছাড়া ওই বছর যাত্রাপথে খাদ্য-পানীয়র অভাব ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৮০ জনের।
এত ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গারা কেন মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে, এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত বুধবার প্রকাশিত গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিছু উত্তর। প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশে মানবপাচার চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মিয়ানমারে নিধনযজ্ঞের ভীতি এবং বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ে মুক্ত জীবনের আশা করা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে চলছে প্রচারণা। মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের দিয়ে নৌকা ভর্তি করছে মানবপাচারকারী চক্র। ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র শাবিয়া মান্টু বলেন, ‘পাচারকারীরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর মিথ্যা আশা দেখিয়ে মরিয়া রোহিঙ্গাদের ফাঁদে ফেলছে।’ গার্ডিয়ানকে বাংলাদেশের আশ্রয় ক্যাম্পে থাকা জাহিদ হোসেন নামের এক রোহিঙ্গা জানান, গেল মাসে তার দুই বন্ধুও বাংলাদেশের আশ্রয় শিবির থেকে পালানো ১৮০ রোহিঙ্গার একটি নৌকায় ছিলেন। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ওই নৌকাটি ইতিমধ্যে ডুবে গেছে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের আশ্রয় কেন্দ্র থেকে পালানোর বিষয়ে জাহিদ বলেন, ‘ওরা উন্নত জীবনের আশায় আশ্রয় শিবির ছেড়ে পালায়। তাদের আশা মালয়েশিয়ায় তাদের জন্য ভালো সুযোগ আছে, পরিবারপরিজন-সন্তানদের ভবিষ্যৎ বদলে যাবে।’ রোহিঙ্গাদের অনেকেই সেই ৯০ দশকের শুরু থেকেই বাংলাদেশে আটকে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘৩০ বছরের বেশি হলো এই শরণার্থী জীবন অনেকের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে বোমা হামলা করার অভিযোগ ওঠে সশস্ত্র রোহিঙ্গাগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে। সেই হামলার জের ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নিধন চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। পালিয়ে বাংলাদেশে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। এই রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য ছিল এই বাংলাদেশের জনস্রোতের সঙ্গে মিশে যাওয়া। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আশ্রয়শিবির থেকেও নৌপথে পালাচ্ছে তারা।
অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র প্রস্তুত ও বিক্রিতে বিশ্বে শীর্ষ যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই সক্ষমতা দেশটিকে এবার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের পরীক্ষায় দাঁড় করিয়েছে। ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র সরবরাহে জার্মানির শর্ত এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান নিয়ে তুরস্কের চাপে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কয়েক দিন ধরে মিত্রদের কাছে ট্যাঙ্ক চেয়ে আসছে ইউক্রেন। আর ইউরোপের মধ্যে লেপার্ড-২ নামের সর্বাধুনিক ট্যাঙ্ক রয়েছে জার্মানির। তবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে এই ট্যাঙ্ক পাঠাতে গড়িমসি করছে দেশটি। কিছু লেপার্ড-টু আছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর কাছেও। কিন্তু ন্যাটো চাইলেই ইউক্রেনকে এই ট্যাঙ্ক পাঠাতে পারবে না। এজন্য জার্মানির অনুমোদন লাগবে। ফলে ন্যাটো যেমন চাপে আছে তেমনি ইউরোপীয় দেশগুলোর চাপে আছে জার্মানি। আবার জার্মানি এবার চাপের মুখে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠাতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে জার্মানি। তারা জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে নিজেদের অত্যাধুনিক আব্রামস ট্যাঙ্ক পাঠায়, তবেই তারা নিজেদের লেপার্ড ট্যাঙ্ক পাঠাবে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জার্মান সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে একাধিকবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকেও ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, কয়েক দিন বাদে ইউক্রেনে কানাডায় তৈরি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান পাঠানোর ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠাতে রাজি নন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এম১ আব্রামস ট্যাঙ্ক চাইছে ইউক্রেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি সরবরাহে প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান নীতিনির্ধারক কলিন কাল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আব্রামস ট্যাঙ্ক অনেক জটিল একটি সমরাস্ত্র, বেশ দামি। তা ছাড়া এটি চালাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া কঠিন। এটিতে ইঞ্জিন বুঝতে ও পরিচালনা করতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন সেনাদের বাছাই করাদের দক্ষ করা হয়েছে।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল গত বুধবার। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তি মোতাবেক ৪০টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান দ্রুত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। একই সঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন, যুদ্ধবিমান না দিলে তার প্রভাব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ন্যাটোর ওপরও পড়তে পারে। মূলত তুরস্কের কাছে এফ১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে বাইডেন প্রশাসন রাজি হলেও বাধা সৃষ্টি করেছেন আইনপ্রণেতারা। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। কিছু ডেমোক্র্যাট সদস্যের মতে, ন্যাটোয় তুরস্কের ভূমিকা ও রাশিয়া ইস্যুতে অবস্থান সঠিক নয়। এ কারণে তাদের ওই যুদ্ধবিমান দেওয়া উচিত হবে না।
বিশ্বের পরিণতি না ভেবে শুধু সাময়িক মুনাফার আশাকারীদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন তাত্ত্বিক বিষয়। তবে প্রকৃতিই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক দৃষ্টান্তগুলোর মধ্যে যেন জলবায়ু পরিবর্তনের ‘রেড অ্যালার্ট’ বা মহাবিপদ সংকেতে জানাল বরফের সাম্রাজ্য গ্রিনল্যান্ড। গবেষকরা সামনে এনেছেন নতুন তথ্য। এতে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা এক হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ হয়ে পড়ার এ খবরটি প্রাকৃতিক বিশ্বে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরছে। বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে আলজাজিরা জানায়, ২০ শতকের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ১৯৯৫ সাল থেকে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেড়েছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, হিমবাহের গভীর থেকে নেওয়া নমুনাগুলোসহ গ্রিনল্যান্ডের বরফ যথেষ্ট উষ্ণ হয়েছে। এ গবেষণার প্রধান লেখক ছিলেন জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের গ্লাসিওলোজিস্ট মারিয়া হোরহোল্ড। তিনি বলছেন, ‘আমাদের কাছে এখন বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট দৃশ্য রয়েছে।’
এদিকে গত নভেম্বরে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত হিমবাহ ২০৫০ সালের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। সংস্থাটি বিশ্বের ১৮ হাজার ৬০০টিরও বেশি হিমবাহ পর্যবেক্ষণ করে থাকে এবং চলতি শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ সেগুলোর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অদৃশ্য হবে বা গলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ অদৃশ্য বা গলে যাবে বলে শঙ্কা রয়েছে। আলজাজিরা বলছে, গ্রিনল্যান্ডের গভীর থেকে তোলা বরফ কোর দীর্ঘমেয়াদি তাপমাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে, যেটির বিশ্লেষণ করতেও সময় লাগে। কোর থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য ১৯৯৫ সালে হালনাগাদ করা হয়েছিল এবং এতে জানা গিয়েছিল গ্রিনল্যান্ড আর্কটিক অঞ্চলের বাকি অংশের মতো দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে না। কিন্তু ২০১১ সালে নেওয়া বরফের নতুন নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ বছরে উষ্ণায়ন ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
মিয়ানমারের স্যাগাইং অঞ্চলের একটি গ্রামে জান্তার বিমান হামলায় অন্তত সাত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ও বিবিসি বার্মিজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার গভীর রাতে স্যাগাইংয়ের কাথা শহরের মোয়ে তার লে গ্রামে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের জান্তার একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জবাব পায়নি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রায় দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি নজিরবিহীন এক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। গণতন্ত্রের পথে এক দশকের অস্থায়ী যাত্রার অবসান ঘটিয়ে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখল বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধীরা গেরিলা বাহিনী গঠন করে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।