
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে বৈরী সম্পর্ক পুরনো। পশ্চিমা শক্তির নেতৃত্বে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা চিন্তার বিরোধী চীন। অন্যদিকে যুদ্ধ শুরুর আগেই অপরিসীম অংশীদারত্বের বিষয়ে সমঝোতার ঘোষণা দিয়েছিল চীন-রাশিয়া। বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কূটনৈতিক বলয়ে চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর পশ্চিমাদের অভিযোগ এখন মস্কোর পাশাপাশি পেইচিংয়ের বিরুদ্ধেও বাড়ছে। চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অভিযোগের আঙুল এখন চীনের দিকে। তাদের সম্মিলিত অভিযোগ, এ যুদ্ধে গোপনে রাশিয়াকে সহায়তা করছে চীন। এমন অভিযোগে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সব আসরে চীন-রাশিয়া যেন আগের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ। চীন-রাশিয়া এখন সম্মিলিতভাবে পশ্চিমাদের দোষারোপের কূটনীতির জবাব দিচ্ছে।
চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনে এনে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছে, ইউক্রেনে অভিযান অব্যাহত রাখতে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। এ সন্দেহ থেকে কয়েক দিন ধরে চীনকেও রাশিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞায় ফেলার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর সঙ্গে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেইচিং নিয়ে আলোচনা হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ওই বৈঠকে দুই নেতাই হুঁশিয়ারি দেন, চীন যদি রাশিয়াকে কোনো ধরনের অস্ত্র সহায়তা দেয় তবে দেশটিরও ওপরও নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে আসবে।
পশ্চিমের দুই নেতা যখন এ হুমকি দিচ্ছেন তখন চুপ করে বসে নেই চীন। গত শুক্রবার পেইচিংয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যখন-তখন বলে যে, ‘চীন হলো পারমাণবিক হুমকি’; অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, খোদ যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় পারমাণবিক হুমকি। দেশটি শুধু নিজের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে ও বিশ্বব্যাপী সামরিক আধিপত্যবাদ বিস্তারের অজুহাত খুঁজে বেড়াচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, অন্য দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার না-করে, দায়িত্বশীল মনোভাবের পরিচয় দেওয়া এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট হওয়া।’
আন্তর্জাতিক কূটনীতির সব আসরে এখন চীন-রাশিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পশ্চিমাদের মোকাবিলা করছে। গত শুক্রবার সমাপ্ত জি-২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধবিষয়ক যৌথ বিবৃতিও ভেস্তে দিয়েছে দুই মিত্র। ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রুশবাহিনীর নিঃশর্ত ও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে চীন ও রাশিয়া ছাড়া অংশগ্রহণকারী বাকি দেশগুলো একমত ছিল।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যৌথ বিবৃতি দিলে তাতে অস্বীকৃতি জানায় রাশিয়া। রাশিয়াকে পুরোদমে সমর্থন করে চীন। এর আগে যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে সম্প্রতি জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দা প্রস্তাবেও সায় ছিল না চীনের। চীন শুরু থেকেই বলে আসছে এ ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটি ‘নিরপেক্ষ’। এমনকি পেইচিং মনে করে রাশিয়ার ওপর এ যুদ্ধ ন্যাটোর চাপিয়ে দেওয়া। এ বছরের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চীন সরাসরি রাশিয়ার পক্ষ না নিলেও পশ্চিমাদের রুশ সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করার আহ্বান জানায়। সেই সম্মেলনেই ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ চীন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে সতর্ক করে ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায়’ বিশ্বাসী দেশগুলোকে কর্র্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে একত্রে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২০২১ সালে সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে ‘চিরস্থায়ী মানবাধিকার সংকট’ সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে জান্তা এই সংকট সৃষ্টি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
গত শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩-এর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জান্তার নির্দেশে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩-এর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশে নির্বিচারে বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে সেনা সদস্যরা। জান্তার এই ঘন ঘন হামলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং চরম মানবেতর অবস্থায় এখন দিন কাটছে তাদের। এ ছাড়া দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে জান্তাবিরোধী যত সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন সক্রিয় আছে, তাদের মূলোৎপাটন করতে গোয়েন্দা তৎপরতা, খাদ্য ও রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডও জারি রেখেছে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকের তুর্ক শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘ধারাবাহিক ও চূড়ান্ত দায়মুক্তির সুযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যা খুশি তা ই করছে জান্তা। আন্তর্জাতিক কোনো নীতি কিংবা বাধ্যবাধকতাকে পাত্তা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন তারা বোধ করছে না। যদি জরুরি ভিত্তিতে দৃঢ় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে নিকট ভবিষ্যতে অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে মিয়ানমার।’
যদিও জান্তা মুখপাত্ররা অবশ্য অতীতে বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, মিয়ানমারের শান্তি ও নিরাপত্তা অক্ষুণœ রাখা সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব এবং সামরিক বাহিনী কোনো নৃশংসতা বা সহিংসতা করছে না। তাদের দাবি, রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসীদের দমন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আইনসংগত অভিযান চালাচ্ছেন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মিয়ানমার শাখার প্রধান জেমস রোদেহাভের শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ মুহূর্তে মিয়ানমারের ৭৭ শতাংশ এলাকায় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জান্তাবিরোধীদের সংঘাত চলছে। তিনি বলেন, ‘এর আগে কোনো সময়ে বা পরিস্থিতিতে এত ব্যাপক ও বিস্তৃত সংঘাত দেখেনি মিয়ানমার।’
এ পরিস্থিতিতে জান্তা সরকারকে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সংকট অবসানে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সামরিক অভিযান অবশ্যই বন্ধ হতে হবে।’
চমৎকার আবহাওয়া, শান্তিপূর্ণ সমাজ এবং দীর্ঘায়ু মানুষের দেশ হিসেবে সুনাম রয়েছে জাপানে। আবার এও সত্য, আত্মহত্যাপ্রবণতা বেশি দেখা যাওয়া দেশগুলোর একটি জাপান। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ওয়েবসাইট বলছে, জাপানিদের মৃত্যুর পেছনে দায়ী কারণগুলোর অন্যতম একটি হলো আত্মহত্যা। দেশটিতে আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে আত্মহত্যার প্রবণতা। সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে রয়েছে বহু স্কুলশিক্ষার্থী। যাদের বয়স ৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে স্কুলশিক্ষার্থীরা। মানসিকভাবে চাপে থাকা শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে প্রশাসনকে জানাতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর।
জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর জাপানে ৫১২ শিশু আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারী শিশুদের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী ছিল ১৭ জন। এর আগের বছর আত্মহত্যাকারী শিশুর এই সংখ্যা ছিল ৪৭৩।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারী শিশুরা সবাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। বেশির ভাগ শিশু চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কী কারণে শিশুরা আত্মহত্যা করছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষায় খারাপ ফল করা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে খুদে শিক্ষার্থীরা এই পথ বেছে নিচ্ছে। যেসব শিশু মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষায়িত হটলাইনও চালু করেছে দেশটির সরকার।
মূলত জাপানে মার্চ মাসে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়। আর এ মাসেই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতাও অনেকটা বেড়ে যায়। গত বছর মার্চ মাসে ৪৭ স্কুলশিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এ ছাড়া জুন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা গেছে।
জাপানে আত্মহত্যা পুরনো এবং আধুনিক সময়ের সঙ্গে নানা জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্রবণতা এখন বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালে দেশটিতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। আর গত বছর সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২২ হাজারে।
দুর্দশাগ্রস্ত পাকিস্তানের জন্য নতুন করে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে চীনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (আইসিবিসি)। গত শুক্রবার তারা এই ঋণের অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এই ঋণপ্রাপ্তির কথা টুইটারে জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান আইসিবিসিকে যে ঋণ পরিশোধ করেছিল তা-ই আবার ফেরত পাচ্ছেন তারা। বৈদেশিক বাণিজ্যে সংকটে পড়া পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর আশা, এই ঋণ তার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করবে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এমন অবস্থায় পৌঁছেছিল, যা দিয়ে তিন সপ্তাহের আমদানি বিল মেটানোও অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তার অংশ হিসেবে চীন এরই মধ্যে ইসলামাবাদকে ৭০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।
আগামী ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পদযাত্রাসহ নানান আয়োজনে দিনটি পালন করেন নারী অধিকারকর্মীরা। তবে এ বছর পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে নারী দিবসের পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, এ দিন ‘বিতর্কিত ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়।’ আর এ কারণে এ বছর লাহোরে কোনো ধরনের পদযাত্রা করতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার অজুহাতও আছে। নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত শুক্রবার পদযাত্রার আয়োজনকারীদের নোটিশও পাঠিয়েছে তারা। এ পদযাত্রার আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের দালালি, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসকে অসম্মান করার অভিযোগ তোলা হয়। ২০২০ সালে পাকিস্তানে নারী দিবসের পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছিল। রক্ষণশীল দেশটিতে ৮ মার্চ নারী দিবসের পদযাত্রার বিরুদ্ধে পাল্টা পদযাত্রার আয়োজন করে থাকে ধর্মভিত্তিক দলগুলো। এ বছর লাহোরে নারী অধিকারকর্মীদের পদযাত্রার অনুমোদন না দেওয়া হলেও ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে তা দেওয়া হয়েছে। হিবা আকবর নামের এক নারী অধিকার কর্মী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি আমাদের অধিকার খর্ব করার শামিল। এটি দুপক্ষের স্বাধীনতার অধিকার বিষয়ে রাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
প্রথম দুই সেটই গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। প্রথমটি নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫ মিনিটে। দ্বিতীয়টিও টাইব্রেকারে। সেটির নিষ্পত্তি ঘণ্টার ওপরে। দুটোতেই জয় নোভাক জকোভিচের। তারপরেরটিও জিতে যান এই সার্বিয়ান। ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেনের খেলায় স্পেনের আলেজান্দ্রো ফোকিনার সঙ্গে ৩-০ সেটে জয়লাভ করেন তিনি। যে জয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী এই নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা প্রথম সেটে কিছুটা ছন্দহীন ছিলেন। তবে চ্যাম্পিয়নদের ঘুরে দাঁড়াতে তো সময় বেশি লাগে না। জকোভিচও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তারপর ফোকিনাকে কোনো সেট জিততে না দিয়েই ম্যাচ শেষ করেন তিনি।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ম্যাচটিতে এক পেশে জয় হলেও প্রতিটি সেটেই উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছেন দুজন। সমর্থকেরাও বারবার হয়েছেন রোমাঞ্চিত। তবে শেষ পর্যন্ত নোভাক জকোভিচের সমর্থকেরাই হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আগামী সোমবার জকোভিচ শেষ ষোলোর ম্যাচ খেলতে নামবেন। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে কার্লোস আলকারাজকে পেতে পারেন তিনি।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।